ম্যাচ সেরা সাকিব, সিরিজ সেরা মালিঙ্গা

মাশরাফির বিদায়ী ম্যাচে নায়ক হলেন মোস্তাফিজুর রহমান। অসাধারণ বোলিং করে, ৪ উইকেট নিয়ে তিনি জয় উপহার দিলেন অধিনায়ককে। অবদান ছিল সাকিব আল হাসানেরও। ব্যাট হাতে ৩৮ রান করার পাশাপাশি বল হাতে নিলেন ৩ উইকেট। বিশেষ করে লঙ্কানদের টপ অর্ডার একাই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন সাকিব। এ কারণে ম্যাচ শেষে সেরার জন্য বিচারকদের আর কাউকে বিবেচনা করতে হয়নি। সাকিব আল হাসানকেই ম্যাচ সেরার জন্য নির্বাচন করলেন তারা।

২ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের উভয় ম্যাচেই অসাধারণ বোলিং করেছেন লাসিথ মালিঙ্গা। দ্বিতীয় ম্যাচের শেষ দিকে তো হ্যাটট্রিকই করে ফেললেন তিনি। যা ছিল টি-টোয়েন্টিতে তার প্রথম হ্যাটট্রিক। অসাধারণ বোলিং করার জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতলেন লঙ্কান এই পেসারই। ম্যাচে ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন তিনি।

টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর ইমরুল কায়েস আর সৌম্য সরকারের দুরন্ত শুরুর পর হঠাৎ ভাঙন ধরলে সাকিব আল হাসান এসে সেটা মেরামত করেন। ৩১ বলে খেলেন সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস। ৪টি বাউন্ডারির মার ছিল তার ইনিংসে। বল হাতে ইনিংসের সূচনাও করেন তিনি এবং দ্বিতীয় বলেই ভয়ঙ্কর কুশল পেরেরাকে বোল্ড করে ফেরান। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফেরান দিলশান মুনাভিরাকে। লঙ্কানদের আরেক ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যান থিসারা পেরেরাকেও আউট করেন তিনি।

তবে ম্যাচের সেরা বোলারের পুরস্কারটা গেলো মোস্তাফিজের হাতেই। সিরিজের সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে পুরস্কার জিতলেন মোস্তাফিজেরই জেলা সাতক্ষীরার ছেলে সৌম্য সরকার। যদিও ম্যাচের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন চামারা কাপুগেদারা; কিন্তু তার ৫০ রানের ইনিংস দলের জন্য কাজে আসলো না।



মন্তব্য চালু নেই