পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কাজ শুরু :

রাউজান থেকে শহরমূখী পনের কিলোমিটার রেললাইন সম্প্রসারণের প্রস্তুতি

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার দক্ষিণ অংশের চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাল হতে নতুন রেল লাইন সংযোগ নির্মান কাজ শিঘ্রই শুরু হচ্ছে। রেল মন্ত্রনালয় ইতিমধ্যে সরেজমিন যাছাই ও পরীক্ষা নিরিক্ষা শুরু করেছে। হালদা নদীর উপর দিয়ে শহর মূখি রেল লাইনটি সম্প্রসারন হওয়ার আগে হালদার উপর একটি দুই লাইন বিশিষ্ট ব্রীজ নির্মান করার নীতিগত সিন্ধান্ত নিয়েছে।

জানা যায়, বিদায়ী বছরের ২৮ডিসেম্বর রেলওয়ে পূর্বঞ্চলে (সিআরবি) রেল মন্ত্রনালয় স¤পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় চুয়েট হতে চট্টগ্রাম নগর পষর্ন্ত ১৫ কিলোমিটার রেল লাইন সম্প্রসারন করার করার সিন্ধান্ত নেয়া হয়। রাউজানের সাংসদ রেল মন্ত্রনালয় স¤পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভাটিতে রেল মন্ত্রী মুজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি জানান, রাউজানের দৈনিক যাত্রীরা প্রতিদিন যাওয়া আসা করতে তাদের দুর্ভোগ লাগব হবে রেল লাইনটি। শহরে যারা চাকরি ও ব্যবসায়ী বানিজ্য করে তারা যানজট থেকে মুক্তি পাওয়ার পাশাপাশি সামান্য ভাড়ায় রাউজানে বসবাস করে দৈনিক যাওয়া আসার সুযোগ সৃষ্টি হবে। তিনি জানান, পর্ষাক্রমে উত্তর রাউজানের সাথে রেল লাইনটি সম্প্রসারন করা হবে।

বিশেজ্ঞরা মনে করছেন, রেল লাইনটি হলে রাউজানের উপর দিয়ে যাওয়া রাঙ্গামাটি ও কাপ্তাই সড়কের উপর মাত্রা অতিরিক্ত চাপ কমে আসবে। বিশেষ করে চুয়েটে ছাত্রছাত্রী ও চট্টগ্রাম শহরে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীর সুবিধা হবে বেশি। উন্নত বিশ্বের আদলে শহর থেকে গ্রামে রেলের সার্ভিস যোগান্তকারী বলে করছেন অনেকেই।

এক পরিসংখ্যায় দেখা গেছে রাউজানের প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন কর্মস্থলে ও বিভিন্ন প্রয়োজনে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে যাওয়া আসা করে। তারা তীব্র যানজট ও যাত্রীবাহী গাড়ির সংকটে নানা বিড়ম্বনা স্বীকার হয়। এই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দিতে আধুনিক রাউজানের রুপকার এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির যুগান্তকারী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।



মন্তব্য চালু নেই