রাউজানের সন্ত্রাসীর সাথে পুলিশের বন্ধুক যুদ্ধ : দুই পুলিশ কনষ্টেবল আহত

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়ায় সন্ত্রাসীর সাথে পুলিশের বন্ধুক যুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসী কামরুল হাসান টিটুসহ দুই পুলিশ আহত হয়েছে। আহত সন্ত্রাসী টিটুর অবস্থা আশংকাজনক। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও পেট্রোল বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রাউজান থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ৯ ফেব্র“য়ারী সোমবার দিবাগত রাত ১০ টার সময় রাউজানের শীর্ষ সন্ত্রাসী কামরুল হাসান টিটুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী নাশকতা মূলক কর্মকান্ড করার জন্য প্রস্তুতি নেয়। এই সময়ে রাউজান নোয়াপাড়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই টুটুন মজুমদার ও এসআই মাঈনুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ রাউজানের নোয়াপাড়া সূর্যসেন পল্লীতে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে উপস্থিত হলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলি বর্ষণে রাউজানের আত্মগোপনে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী ফজল হকের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড কামরুল হাসান টিটু (৩৮) গুলিবিদ্ধ হলে টিটুর সহযোগীরা গুলিবিদ্ধ সন্ত্রাসী কামরুল হাসান টিটুকে আহত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়।

এই সময়ে পুলিশ শীর্ষ সন্ত্রাসী কামরুল হাসান টিটুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে শীর্ষ সন্ত্রাসী কামরুল হাসান টিটু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা যায়। পুলিশ সন্ত্রাসী বন্ধুক যুদ্ধ চলাকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে পুলিশ কনষ্টেবল রুবেল (২৬), শফিউল্লাহ (২৬) আহত হয়। আহত দুই পুলিশ কনষ্টেবলকে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

রাউজান থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান নাশকতার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় গোপনে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পুলিশকে লক্ষ্য করে শীর্ষ সন্ত্রাসী কামরুল হাসান টিটু ও তার সহযোগীরা গুলি করে পুলিশ ও পাল্টা গুলি চালায়। সন্ত্রাসী পুলিশের বন্ধুক যুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসী কামরুল হাসান টিটু ও দুই পুলিশ কনষ্টেবল আহত হয়। সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে পুলিশ তিনটি পেট্রোল বোমা, একটি দেশীয় তৈরি এলজি, দুই রাউন্ড কার্তুজ, চার রাউন্ড রাইফেলের গুলি উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে নাশকতা করার প্রস্তুতি ও পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করা, অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার ব্যাপারে শীষ্য সন্ত্রাসী কামরুল হাসান টিটু ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে। শীর্ষ সন্ত্রাসী কামরুল হাসান টিটুর বিরুদ্ধে ৯৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাউজানের নোয়াপাড়া পুলিশ ফাড়ির অস্ত্র লুট ও আনসার আবদুর রশিদ হত্যার মামলা, অপহরণ, মোবারক হত্যা সহ কয়েকটি হত্যা মামলা, অস্ত্র আইনে দশটির অধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।



মন্তব্য চালু নেই