রহস্যময় মৃত্যুর কোলে যে ১০ বলিউড তারকা
ছোট কিংবা বড় পর্দার হোক,তারকা মানেই কমবেশি জনপ্রিয়। তবে অধিকাংশ তারকার শেষ জীবন বেশি ভালো কাটে না।
বলিউড স্টারদের অনেকেরই শেষ জীবন কেটেছে বেশ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে এবং তাদের মৃত্যুও হয়েছে রহস্যজনকভাবে।জেনে নিন ১০ বলিউড তারকার রহস্যময় মৃত্যুর রহস্য।
মধুবালা: ‘মুগল এ আজম’, ‘হাওড়া ব্রিজ’ কিংবা ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস ফিফটি ফাইভ’-এর মতো অজস্র হিট সিনেমার নায়িকা এবং বহু হৃদয়ে রাজত্ব করা এই সুন্দরীর শেষ জীবন কেটেছে অত্যন্ত নিঃসঙ্গ এবং অসহায় অবস্থায়।
শেষ জীবনে কেউ তাঁর দেখাশোনার জন্য ছিল না। রহস্যময়ভাবেই চলে যান তিনি। এমনকী মৃত্যুর পরে যে কবরে তিনি শায়িত ছিলেন সেখান থেকেও তার মৃতদেহ সরিয়ে দেওয়া হয় নতুন স্থানে।
মীনা কুমারী: ৪০ বছর বয়সে ট্র্যাজেডি কুইন মীনা যখন মারা যান তখন তাঁর ছবি ‘পাকিজা’ নিয়ে মাতামাতি তুঙ্গে। একাকীত্ব ও অবসাদে ভোগা মীনা মৃত্যুর আগে প্রচুর মদ্যপানের কারণে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হন।আর এতেই তার মৃত্যু হয়।
গুরু দত্ত: ১৯৬৪ সালে উদ্ধার হয় গুরু দত্তের মৃত্যুদেহ। পোস্টমর্টেমের পরে জানা যায়, অতিমাত্রায় মদ্যপান ও ঘুমের ওষুধ সেবনের ফলে মৃত্যু হয়েছে গুরু দত্তের। বিষয়টি দুর্ঘটনা না আত্মহত্যা সেই বিষয়ে দ্বন্দ্ব এখনও মেটেনি।
অনেকের মতে, স্ত্রী গীতা দত্তের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে অবসাদে ভোগা গুরু আত্মহত্যাই করেছিলেন। গুরুর দীর্ঘদিনের বন্ধু ভি কে মূর্তি দাবি করেন, এর আগেও দু’বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন গুরু দত্ত।
সিল্ক স্মিতা: ভারতীয় সফ্ট পর্ন ছবির সবচেয়ে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী প্রায় সাড়ে চারশো ছবিতে অভিনয়ের পরে ফিল্ম প্রোডাকশনে টাকা ঢালার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ফিল্ম প্রোডিউসার হিসেবে চূড়ান্ত ব্যর্থ হন তিনি।
এছাড়া অভিনেত্রী জীবন ও প্রেম জীবনেও হতাশার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। অত্যধিক বেড়ে গিয়েছিল মদ্যপানের মাত্রা। শেষ পর্যন্ত ১৯৯৬ সালে অবসাদে ডুবে থাকা সিল্ক আত্মহত্যা করেন।
মনমোহন দেশাই: ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’, ‘কুলি’, ‘পরভরিশ’ কিংবা ‘আ গলে লগ যা’-র মতো ছবির নির্মাতা মনমোহন ১৯৯৪ সালে নিজের গ্রান্ট রোডের ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে নীচে পড়ে মারা যান।
এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দানা বেঁধেছে ধোঁয়াশা। কেউ বলেন, বিষয়টি নিছকই দুর্ঘটনা। কেউ আবার দাবি করেন, নিজের শেষদিকের ফিল্মগুলো তেমনভাবে সফল না হওয়ায় হতাশাগ্রস্ত মনমোহন আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
প্রিয়া রাজবংশী: ১৯৭০-এর দশকে ‘হির রাঞ্ছা’ কিংবা ‘হাসতে জখম’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করা প্রিয়া তাঁর প্রতিভার উপযুক্ত খ্যাতি পাননি। ২০০০ সালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, তিনি আত্মহত্যা করেছেন কিন্তু তদন্ত অগ্রসর হওয়ার পরে জানা যায়, প্রাক্তন স্বামী প্রয়াত চেতন আনন্দের ছেলে তার কয়েকজন সাঙ্গোপাঙ্গোকে নিয়ে সম্পত্তির লোভে প্রিয়াকে খুন করেছেন।
পরভীন ভাবি: ২০০৫ সালের ২০ জানুয়ারি পরভীনের ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে পরভীনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল তার, সে নিয়ে দানা বেঁধেছিল ধোঁয়াশা। নিঃসঙ্গতাজনিত হতাশার কারণে পরভীন আত্মহত্যাই করেছিলেন বলে মনে করেন অনেকে।
দিব্যা ভারতী: ১৯৯২ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে পাঁচ তলার উপর থেকে নীচে পড়ে মারা যান।
তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে টাল সামলাতে না পেরে নীচে পড়ে যান, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এমনকী কেউ কেউ বলেন, দিব্যাকে খুন করা হয়েছিল।
কুণাল সিংহ: ‘দিল হি দিল মে’ ছবিতে অভিনয় করা সুদর্শন কুণাল সিংহের কথা আজ অনেকেই ভুলে গিয়েছেন। কিন্তু ২০০৮ সালে এর অস্বাভাবিক মৃত্যু কাঁপিয়ে দিয়েছিল বলিউডকে।
গলায় দড়িঁ দিয়ে ঝুলন্ত কুণালের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। কিন্তু কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। যে কারণে অনেকেই মনে করেন, কুণালকে আসলে খুন করা হয়েছিল।
নাফিসা জোসেফ: ভিডিও জকি হিসেবে নাম করেছিলেন নাফিসা। অভিনয় করেছিলেন দু’একটি বলিউড ফিল্মেও। কিন্তু ২৬ বছর বয়সে তাঁর আকস্মিক মৃত্যু পূর্ণচ্ছেদ টেনে দেয় তাঁর কেরিয়ারে।
তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন বলেই মনে করা হয়। যখন তার মৃত্যু হয়, তার সপ্তাহ খানেক পরেই ব্যবসায়ী গৌতম খাঁদুজার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু আচমকাই বিয়ে ভেঙে দেন গৌতম। অনুমান করা হয়, এই ধাক্কা সামলাতে পারেননি নাফিসা। সেই কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি। তথ্য: অনলাইন।
মন্তব্য চালু নেই