যে ৯ টি “সাধারণ” ভুলে ভেঙে যেতে পারে ভালবাসার সম্পর্কটি!

আমাদের চারপাশের সম্পর্কগুলো আমাদের জন্য অনেক দামী। সম্পর্কই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়। আমরা যে কোন মূল্যেই ভালবাসার এই সম্পর্কগুলোর মাঝে দূরত্ব তৈরি হতে দিতে চাই না। অথচ হয়ত নিজেদের ছোটখাট ভুলেই আমরা আঘাত করে সামনের মানুষটিকে।

মনোবিজ্ঞানী এমি মরিন তুলে ধরেছেন ৯ টি ভুল, যা আমরা শোনার সময় করি। তর্কে জড়িয়ে গেলে নিজেকে বাঁচাতে এমন ভুল করি, যা কষ্ট দেয় প্রিয় মানুষটিকে।

১। Mind reading
প্রশ্ন করার পরিবর্তে অনেক সময়ই আমরা নিজে নিজে বুঝে নিই পাশের মানুষটি কি চাইছে! মানুষের আচরণ অনেক জটিল। নিজে নিজে বুঝে নিতে গেলে ভুল বোঝা সবচেয়ে স্বাভাবিক। অনেক মানুষই আবার নিজেকে প্রকাশ করে না, নিজের আবেগ মুখে চোখে ফুটিয়ে তুলতে পারে না। আপনি যদি মুখ দেখেই আন্দাজ করে নিতে চান তাহলে হয়ত আপনি জানবেন ও না দিনের পর দিন আপনি নিজেকে ভুল জানার মধ্যে রাখছেন, একই সাথে ভুল ব্যবহার করছেন সঙ্গীর সাথে।

২। না শোনা
সংগীর সাথে কোন সমস্যা হলে আপনি কি তার কথা শুনছেন না? তার দৃষ্টিভঙ্গি জানার বদলে শুরুতেই তর্কে জড়িয়ে যাচ্ছেন। আপনার বলার ভঙ্গী, রেগে যাওয়া হয়ত অন্যের বক্তব্যকে ধোঁয়াশা করে দিচ্ছে। এভাবে নিজের কথা বলতে না পারা খুব দ্রুতই দূরত্ব তৈরি করে।

৩। ফিল্টারিং
আপনি হয়তো সেই কথাগুলো কখনোই গুরুত্ব দিয়ে শুনছেন না যেগুলো আপনি শুনতে চান না। আপনার সঙ্গীর বক্তব্যের শুধু সেগুলোই আপনি গ্রহণ করছে যা আপনার ভাল লাগে। এতে শুধু ঘনিষ্ঠতাই কমে না, জমে অনেক মনোকষ্ট।

৪।অন্যমনস্কতা
আলোচনার সময় আপনি হয়ত অন্যমনস্ক হয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে আলোচনা যখন দীর্ঘ সময় চলে। কিন্তু এই অমনোযোগ আপনার সঙ্গীকে এই অনুভূতি দিতে পারে যে, আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

৫। বিচার করা
আপনি কি মানুষকে অযথা বিচার করেন? আপনি হয়ত একটা মানুষ সম্পর্কে মতামত দিয়ে ফেলেন সহজেই, তাকে বোঝার বা জানার চেষ্টা না করে। যে কোন ঘটনা বা মানুষের ক্ষেত্রে আপনি যখন সম্পূর্ণ ঘটনা শুনবেন এবং বোঝার চেষ্টা করবেন তখন আপনি একটি নিরপেক্ষ মতামত দিতে পারবেন। আগেই মন্তব্য করে ফেলাটা মুক্তমনের পরিচায়ক নয়।

৬। উপদেশ দেওয়া
আপনার সঙ্গী আপনার সমতুল্য, তা সে যেই বয়সেরই হোক না কেন! আপনি যদি নিজেকে তার শিক্ষকের ভূমিকায় নিয়ে যান তা আপনার সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। খেয়াল করুন, আপনি কি সারাক্ষণ উপদেশ দিয়ে যাচ্ছেন? এতে আপনি এক প্রকারে তার যোগ্যতাকে হেয় করছেন।

৭। যুক্তি-তর্ক
কোন বিষয়ে তর্ক হলে যুক্তির মধ্য দিয়ে যদি এগিয়ে যান তাহলে তার ফল কাউকে আঘাত করে না। কিন্তু আমরা অনেক সময়ই হেরে যাওয়াটা নিতে পারি না। ক্ষিপ্ত হয়ে যাই। এটা আমাদের ব্যক্তিত্বের জন্য ক্ষতিকারক।

৮। মেনে নেওয়া
অনেক সময় এমন হয় যে, তর্ক থামাতে আমরা বলি, ‘আচ্ছা, তুমিই ঠিক আছ”। এটা এক প্রকার অযত্ন প্রকাশ করে। কথা বলুন, শান্ত হোন। সমাধান না করে থামিয়ে দিলে ক্ষত পূরণ হয় না, বরং বাড়ে। তাই কথা বলুন।

৯। দোষারোপ করা
সবচেয়ে বাজে কাজ আমরা যেটা করি, তা হল পাল্টা দোষারোপ করা। কখনো নিজেদের ভুল থাকলেও মানতে না চেয়ে আমরা অন্যের দোষ খুঁড়ে খুঁড়ে বের করি। এবং পাল্টা দোষারোপ করি। এটি এক মূহুর্তে একটা সম্পর্ককে ভেঙ্গে দিতে পারে। নিজের দোষ মেনে নিয়ে একটা ছোট্ট “sorry” অনেক সুন্দর রাখবে আপনার সম্পর্কগুলোকে।



মন্তব্য চালু নেই