যে ৭টি লক্ষণে বুঝবেন আপনি ভুল ব্রা পরেছেন
একটা সময় ছিল, যখন ব্রা নিয়ে কথা বলতে নারীরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন না। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সময় বদলেছে, আজকের আধুনিক নারী জানেন ও বোঝেন ব্রা-এর গুরুত্ব। ব্রা কেবল একটি পোশাক নয়, ব্রা-এর সাথে জড়িয়ে আছে নারীর স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য। ভুল মাপের ব্রা পরিধান কেবল নারীর সৌন্দর্যহানিই ঘটায় না, একই সাথে নারীর জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিও ডেকে আনে। অনেক চিকিৎসকের মতেই স্তন ক্যান্সার হবার অন্যতম কারণ খুব টাইট ব্রা পরিধান করা।
কীভাবে বুঝবেন আপনি ভুল মাপের ব্রা পরিধান করছেন আর নিজের জন্য ডেকে আনছেন স্বাস্থ্যঝুঁকি? চলুন, জেনে নিই।
১) ব্রা পরিধান করার পর স্তন বেশি উঁচু হয়ে থাকলে বুঝবেন যে এই ব্রা-টি আপনার শরীরের সাথে মানানসই নয়। হ্যাঁ, ব্রা-এর কাজ স্তনকে সাপোর্ট দেয়া। কিন্তু সেটা জোর করে উপরের দিকে পুশ করে নয়, এতে স্তনে অতিরিক্ত চাপ পড়ে।
২) ব্রা পড়ার কয়েক ঘণ্টা পরই কি ফিতা আপনার কাঁধে বসে যায় ও দাগ পড়ে যায়? তাহলে জানবেন যে আপনার ব্রা বেশি আঁটসাঁট। এমন ব্রা পরিধান করা মোটেও উচিত নয়।
৩) ব্রা পড়ার পর কি স্তনে চুলকানি হয়? বা দিনশেষে যখন ব্রা খোলেন, তখন কি স্তনের চামড়ায় কোন রকমের র্যাশ দেখতে পান? তাহলে জেনে রাখুন এই ব্রা-এর কাপড়টি ভুল। তাছাড়া মনে রাখবেন, সিনথেটিক কাপড়ের ব্রা পরিধান না করাই ভালো। বিশেষ করে যদি দিনরাত সারাক্ষণ ব্রা পরার অভ্যাস থাকে।
৪) ব্রা পরার পর যদি বগলের কাছে ফুলে থাকে বা স্তন কাপের বাইরে চলে যায়, তাহলে বুঝবেন আপনার আরও ঢিলা ব্রা পরিধান করা প্রয়োজন। যেটা পরছেন সেটার কাপ সাইজ ছোট।
৫) ব্রা-এর হুক কি প্রথম ঘরটাতেই লাগাতে পারেন? তাহলে ব্রা-এর সাইজ ঠিক আছে। দ্বিতীয় ঘর পর্যন্তও চলবে। কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ ঘরে লাগানোর অর্থ আপনার ব্রা ভুল মাপের।
৬) পোশাক পরার পর নিজেকে আয়নায় দেখুন। বক্ষযুগলকে সুন্দর শেপে দেখাচ্ছে? পেছনে ভাঁজ পড়ে নেই তো? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে বুঝবেন ব্রা-এর সাইজ ও শেপ ঠিক আছে। কিন্তু যদি বেশি ঢিলাঢালা মনে হয় স্তনের শেপ, তাহলে বুঝবেন আপনি প্রয়োজনের চাইতে বড় সাইজের ব্রা ব্যবহার করছেন। এমন ব্রা আপনার দেহের শেপ নষ্ট করে দেবে।
৭) ব্রা-এর ফিতা কি কাঁধ থেকে গড়িয়ে নেমে যায়? তাহলে বুঝবেন আপনার ব্রা-এর সাইজ ভুল। স্তন পর্যাপ্ত সাপোর্ট পাচ্ছে না, তাই ফিতা গড়িয়ে নেমে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ফিতা খাটো করে নিলেও সমস্যার সমাধান হতে পারে।
সূত্র-কজমোপলিটন
মন্তব্য চালু নেই