যে ৪ টি কারণে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ ধনীদের চাইতে বেশি সুখী

বর্তমানের যুগে সকলের ধারণাটি এমন হয়েছে যে টাকা থাকলেই সুখী হওয়া যায়। যে যতো টাকার মালিক সে ততো বেশি সুখী। কথাটি কি আসলেই সঠিক? মোটেই নয়। বরং যিনি পরিমিত অর্থের মালিক তিনিই একজন অতিরিক্ত অর্থের মালিকের চাইতে বেশি সুখী। এবং এক্ষেত্রে সত্যিকার অর্থেই একজন মধ্যবিত্ত মানুষ একজন ধনী ব্যক্তির চাইতে অনেক বেশি সুখী। জানতে চান কীভাবে? আসুন তবে জেনে নেয়া যাক।
১) সব স্থানে মানিয়ে নিজেকে নেয়ার ক্ষমতা

মধ্যবিত্ত মানুষ যে কোনো স্থানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন যা ধনীরা একেবারেই পারেন না। অনেকের মতে মধ্যবিত্ত মানুষজন হচ্ছে বাঙালি খাবারে হলুদের মতো। সবখানেই নিজেকে মানিয়ে নিতে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন যা ধনীদের দ্বারা সম্ভব নয়। এতে করেও কিন্তু মধ্যবিত্তগণ একটু সুখেই আছেন।
২) যতো অর্থ ততো ঝামেলা

‘যতো বড় মাথা ততো বড় ব্যথা’- এই প্রবাদটি জানেন তো? মানুষ যতো অর্থের মালিক হবেন তার সেই অর্থ নিয়ে নিছক চিন্তা এবং ঝামেলার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এতে করে মন থেকে দূর হয়ে যাবে শান্তি। অনেক ধনীরই কিন্তু এই সমস্যায় পড়তে হন। বেঁচে যান মধ্যবিত্তরা।
৩) বন্ধু শত্রুর অনুপাত

মধ্যবিত্তদের বন্ধুর সংখ্যা বেশি থাকে এবং শত্রুর সংখ্যা বেশ কম। কিন্তু ধনীদের ক্ষেত্রে তা ঠিক উল্টো। অতিরিক্ত অর্থ কিন্তু চুম্বকের মতো শত্রুকেও আকৃষ্ট করে নিজের দিকে। এরসাথে ধনীরা আরও সমস্যায় থাকেন সুসময়ের বন্ধুর কর্মকাণ্ডে। সুতরাং এই দিক দিয়েও কিন্তু মধ্যবিত্ত মানুষ জয়ী।
৪) পারিবারিক দৃঢ় বন্ধন ও মায়া-মমতা

সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত না থাকলে ধনী মানুষের পারিবারিক বন্ধন এবং মায়া-মমতা ও ভালোবাসা সবই থাকে টাকার মায়ার উপর ভিত্তি করে। সোনার পালংকে বেড়ে উঠা ধনীর দুলালেরা যদি সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রিত না থাকে তাহলে ননির পুতুল হয়েই বেড়ে উঠে। কিন্তু মধ্যবিত্ত মানুষের পারিবারিক বন্ধন অনেক বেশি মজবুত থাকে। তাদের সন্তানদের মনে অপূর্ণতা থাকলেও নিজেরটা নিজে করে নেয়ার সামর্থ্য তৈরি হয় আপনাআপনি। সামান্যতেই সুখ থাকে মনে।



মন্তব্য চালু নেই