যে মন্দিরের কাহিনী চমকে দেয়!

বিকানেরের দেশনোকে কার্নি মাতা মন্দিরে প্রায় কুড়ি হাজার ইঁদুরের বসবাস। ভক্তরাও ইঁদুরদেরই রীতিমতো ভোগ দিয়ে পুজো করেন। গোটা ভারতেই ইঁদুরের জন্য বিখ্যাত এই মন্দির।

কিন্তু, এই মন্দিরের সঙ্গে ইঁদুরের যোগ কী? ওই মন্দিরটিতে গণেশও পুজিত হন না যে গণেশের বাহন হিসেবে ইঁদুরের এমন কদর। আসলে কার্নি মাতা ছিলেন একজন হিন্দু সন্যাসিনী। তাঁকে সবাই মা দুর্গার একটি রূপ বলেই পুজো করতেন। যোধপুর এবং বিকানেরের রাজ পরিবারের আরাধ্য দেবীও এই কার্নি মাতা।

কথিত, ১৫৩৮ সালে, ১৫১ বছর বয়সে কার্নি মাতা উধাও হয়ে যাওয়ার পরে এই কার্নি মাতা মন্দিরটি নির্মিত হয়। কিন্তু মন্দিরের ইঁদুর যোগ সংক্রান্ত দু’টি গল্প শোনা যায়।

একটি কাহিনি অনুযায়ী, কার্নি মাতার এক সৎ ছেলে পুকুরে ডুবে গিয়েছিলেন। তখন কার্নি মাতা যমরাজের কাছে ছেলের প্রাণভিক্ষা করেন। যমরাজ প্রথমে তাঁর আবেদন খারিজ করে দিলেও পরে কার্নি মাতার ওই সৎ ছেলে-সহ ওই দেবীর সমস্ত পুত্র সন্তানকে ইঁদুর রূপে পুনর্জন্ম দেন।

অন্য কাহিনি অনুযায়ী, কোনও এক যুদ্ধের সময়ে কুড়ি হাজার সেনার একটি বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে দেশনোক এলাকায় আশ্রয় নেন। যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে আসার শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড। কার্নি মাতা তখন তাদের ইঁদুরে রূপান্তরিত করে মন্দিরে আশ্রয় দেন।

অনেক ভক্তেরই বিশ্বাস, ইঁদুরের এঁটো করা প্রসাদ খাওয়া মানে পুণ্য অর্জন করা। যদি কোনও ভক্তের হাতে একটি ইঁদুরের মৃত্যু হয়, তাহলে তার জায়গায় একটি রূপোর তৈরি ইঁদুর মন্দিরে জমা দিতে হয়। সূত্র: এবেলা।



মন্তব্য চালু নেই