যে প্রাণীগুলো ভীষণ চতুর!

মানুষ যে সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী তা নিয়ে তো আর কোন তর্ক নেই। কিন্তু বুদ্ধিমান হতে পারে অন্য প্রানীরাও। মানুষের খুব কাছাকাছি গোত্র থেকে শুরু করে ঘরের পোষা প্রাণীটি পর্যন্ত আপনাকে চমকে দিতে পারে তার বুদ্ধিদীপ্ত কাজের দ্বারা। আসুন জেনে নিই, বিশের সবচেয়ে চতুর প্রাণীদের কথা।

শিম্পাঞ্জি
মানুষের পরে বুদ্ধির তালিকায় প্রথম প্রাণীর নাম শিম্পাঞ্জি। আপনি বিশ্বাস করবেন না, কিন্তু সত্যি যে শিম্পাঞ্জিরা চিন্তা করতে পারে, শেখালে খুব দ্রুত শিখে নেয়, খেলাধূলা তো শিখতেই পারে এমনকি পারে অংকও। গবেষণায় দেখা গেছে, একটি শিম্পাঞ্জির বুদ্ধিমত্তা এবং ৫ বছর বয়সী মানব শিশুর বুদ্ধিমত্তা সমান। তাদের মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা এবং ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার ধরণ তাদেরকে বিশ্বের সবচেয়ে চতুর প্রাণীর স্বীকৃতি দেয়।

ওরাংওটাং
শিম্পাঞ্জির মত ওরাংওটাং ও মানুষের কার্যকলাপের হুবহু নকল করতে পারে। মানুষের সাথে মানিয়েও নিতে পারে সহজে। প্রশিক্ষণ দিলে তারা শিখতে পারে নানান রকম খেলা। গবেষণা বলে ওরাংওটাং এর বুদ্ধি ৩ বছরের মানব শিশুর বুদ্ধির সমান। কাজে দক্ষতা তৈরির অনন্য ক্ষমতা আছে তাদের। তারা হাতুড়ি আর পেরেক একত্র করতে পারে এবং তা দিয়ে কাজও করতে পারে। নতুন পরিবেশের সাথে সহজে মানিয়েও নিতে পারে তারা।

রেসাস বানর
রেসাস বানরেরা মানুষের কপি করতে বিশেষ পটু। গবেষণায় দেখা গেছে, তাদের যোগাযোগের দক্ষতা অনেক ভাল। তাদের সমাজব্যবস্থাও বেশ জটিল এবং তারা সেখানে তাদের পোস্ট অনুযায়ী কাজ করে। তারা শক্ত আবরণযুক্ত খাবার ভেঙ্গে বের করে খেতে পারে। তারা সবসময় দল বেধে আক্রমণ করে এবং তাদের আক্রমণ হয় সুপরিকল্পিত।

শুকর
নিতান্তই গোবেচারা মুখের এই প্রানীটিও আছে চালাকের তালিকায়। তাদেরকে দেখে বোকা মনে হলেও আসলে কিন্তু তারা মোটেও বোকা নয়। শুকরের মানসিক ধারণ ক্ষমতা ৩ বছরের মানব শিশুর সমান। বলা হয়, তাদের আবেগ অনিভূতিও আছে। তারা স্বপ্ন দেখে এবং দুঃস্বপ্ন দেখে কেঁদে ফেলে। প্রতিদিন নতুন জিনিস শেখার ক্ষমতা রয়েছে তাদের। শুকর পরিবেশের প্রতিকূলতার সাথেও মানিয়ে নিতে পারে সহজে।

অক্টোপাস
অদ্ভুত দর্শন এই প্রানীটি কিন্তু দারুণ বুদ্ধিমান। তারা খুবই দক্ষ শিকারি। তাদের মস্তিষ্কেই হত্যার প্রোগ্রাম সেট করা থাকে। অক্টোপাসের শরীরে অনেক পদ্ধতি আছে যা তাদের পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়া টিকে থাকতে সাহায্য করে। প্রয়োজনমত তারা রঙ বদলায়, যাতে শিকারি বা শিকারের কাছ থেকে নিজেকে লুকাতে পারে। শিকারির শিকার করে ফেলাও তাদের পক্ষে অসম্ভব নয়। তারা চট করে বদলে দিতে পারে খেলা এবং খেয়ে ফেলতে তাকে যে কিনা তাকে হত্যা করতে এসেছিল।

খরগোশ
ছোট্ট আর কিউট এই প্রাণিটির মাথায় ধরে অনেক বুদ্ধি। এরা মানিয়ে নিতে পারে বন্য বা গৃহ যে কোন পরিবেশেই। খরগোশের আচরণের সাথে মানুষের কোন মিল নেই। তারা মানুষকে নকল করে না কোনভাবেই। খাদ্য সংগ্রহের সময় পাওয়া যায় তাদের বুদ্ধির পরিচয়। তারা বেশি খাবার সংগ্রহের জন্য সব করতে পারে। মনে করা হয়, খরগোশের স্মৃতিশক্তিও অনেক ভাল।



মন্তব্য চালু নেই