যে দুই টাইগারকে দেশের নতুন অধিনায়ক হিসেবে বিবেচনায় রেখেছে বিসিবি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নাজমুল হাসান পাপনের দুটি মন্তব্য নিয়ে চলছিল আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। দেশের একটি টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি প্রথম মাশরাফি বিন মুর্তজার টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেয়ার বিষয়ে কথা বলেন। সেই সঙ্গে ইনজুরি আক্রান্ত বাংলাদেশের তরুণ পেস সেনসেশন মোস্তাফিজুর রহমান দলে খেলুক অনেক ক্রিকেটার চান না বলে মন্তব্য করেছিলেন। অবশ্য রোববার রাতেই মাশরাফির বিষয়টি গুজব বলে উড়িয়ে দেন তিনি। এরপর গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে মোস্তাফিজের বিষয়টিও ঘুরিয়ে দেন।

এছাড়া গত বছরের মতো এ বছরও আরো একটি ত্রি-দেশীয় সিরিজ আয়োজনের কথাও জানান সংবাদ মাধ্যমকে। তবে গত বছর কোনো ত্রি-দেশীয় সিরিজ আয়োজন করতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার বোর্ড সভাপতির ভাষ্যমতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পর ভারত কিংবা নিউজিল্যান্ডকে তৃতীয় দল হিসেবে নিয়ে একটি ওয়ানডে সিরিজ আয়োজনের কথা ভাবছে বিসিবি। গত বছরও শোনা গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তানকে নিয়ে একটি ত্রি-দেশীয় সিরিজ আয়োজনের কথা। তবে জঙ্গি হামলাসহ বিভিন্ন কারণে সেটি সম্ভব

হয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলে সাকিব আল হাসান ছাড়াও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে অধিনায়ক হিসেবে বিবেচনায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোর্ড সভাপতি।

এ বছর আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আসতে পারে অস্ট্রেলিয়ান দল। ২০১১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ খেলে চলে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই সময় নির্ধারিত হওয়া টেস্ট সিরিজটি ২০১৫ সালে খেলতে আসার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাতে তারা সেই সফর বাতিল করে। এবার অবশ্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী সাদারল্যান্ড বলেছেন পরিস্থিতি ঠিক থাকলে তারা বাংলাদেশ সফরে আসতে পারে। যদি না এরমধ্যে ফের কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।

অন্যদিকে মাশরাফির টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেয়ার বিষয়টি গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে নাজমুল হাসান বলেন, ‘সকাল থেকে মাশরাফির অবসর নিয়ে যেসব কথা উঠেছে তার কোনো ভিত্তি নেই। তার সঙ্গে আমার যে সম্পর্ক তাতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই সে আমার সঙ্গে কথা বলে নেবে। আজ সকালেও তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডে ম্যাচের আগে অবসর নিয়ে কোনো কথা হয়নি তার সঙ্গে। যেটা রটেছে তা সম্পূর্ণই গুজব। মাশরাফি যতদিন ফিট থাকবে, ততদিন খেলবে। এমনকি তার নেতৃত্ব নিয়েও কোনো সংশয় নেই। মাশরাফির পর সাকিব আর তামিম আমাদের দলপতির তালিকায় এগিয়ে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও বেশ ভালো অধিনায়ক। সেও আমাদের চিন্তাতে থাকবে।’

মোস্তাফিজকে নিয়ে বিসিবি সভাপতি তার মন্তব্যের বিষয়ে বলেন, ‘মোস্তাফিজ বাংলাদেশে চলে আসতে চাচ্ছে। আমি ধারণা করছি, ওর চলে আসার কারণ এটা হতে পারে। যদিও মোস্তাফিজের সঙ্গে আমার নিয়মিত কথা হয়। তৃতীয় ম্যাচে তার খেলার কথা ছিল। যখন দেখলাম সে খেললো না, তখন আমার মাথায় এই চিন্তা এসেছিল! হয়তো এমন কিছু হতে পারে। সবাইকে নিয়ে বসে বের করতে হবে কোথায় সমস্যা। ওখান (নিউজিল্যান্ড) থেকে এসেছিল প্রশ্নটা। অন্য জায়গা থেকেও এসেছিল। একজন অভিযোগ করলেই তো আর হবে না। আমাদের ভালো করে জানতে হবে। সবার সঙ্গে কথা বলে এর সত্যতা যাচাই করতে হবে। যদি এমন কিছু হয় তাহলে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ পাইনি।’-এম জমিন



মন্তব্য চালু নেই