যে জুসে হজমশক্তি বাড়ে

হজম শক্তি কম হলে গ্যাসট্রিক, পেটে ব্যথা, মাথা ব্যথা, ত্বকের সমস্যা, মাইগ্রেন ও পিঠে ব্যথাসহ নানা ধরনের সমস্যা হয়। এতো সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু এই একটি কারণকে যদি দূর করা যায়, তাহলে পেতে পারি সুস্থ-সুন্দর দেহ ও মন। তাই হজমশক্তিকে বাড়াতে আজই খেতে পারেন প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি জুস। আসুন জেনে নেয়া যাক ঘরে বসে হজমশক্তি বাড়ানোর জুস বানানোর পদ্ধতি।

অ্যালোভেরা জুস

হজম শক্তি বাড়াতে অ্যালোভেরা জুসের তুলনা হয় না। অ্যালোভেরায় প্রাকৃতিক এনজাইম, ভিটামিন সি ও অ্যামিনো অ্যাসিড আপনার হজম শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালিপেটে সামান্য চিনির সঙ্গে অ্যালোভেরার জেল দিয়ে তৈরি জুস খেলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও দূর হবে।

পেঁপের জুস

পেঁপে হজম শক্তি বৃদ্ধিকারক একটি ফল। ব্লেন্ডারে দিয়ে পেঁপের জুস বানিয়ে নিয়মিত পান করতে পারেন। বেশি কাজ দেবে পেঁপে কাটার আগে ধুয়ে নিলে। কারণ হজম বাড়াতে বা শরীরের অবাঞ্চিত চর্বি দূর করতে পেঁপের আঠা বেশি কার্যকরী। কাটার পর ধুলে পেঁপের আঠা চলে যায়। এভঅবে দুয়েক দিন খেলে আপনার হজম শক্তি ম্যাজিকের মতো বাড়তে থাকবে।

আদার জুস

গাজর, কমলা বা আপেলের সঙ্গে সামান্য একটু আদা নিয়ে একসঙ্গে ব্লেন্ড করে খেয়ে নিন। আদা আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে খুবই উপকারী কিন্তু সর্বোচ্চ ৩ গ্রামের বেশি খাওয়া ঠিক নয়। এভাবে কিছুদিন খেয়ে দেখুন আপনার হজমশক্তি বেড়ে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে। পেটের গ্যাসের সমস্যাও দূর হবে সহজেই।

লেবুর জুস

আপনার হজম শক্তি বাড়াতে একগ্লাস লেবুর জুসের সঙ্গে একটু বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করুন। এই দুই উপাদানের মিলিত শক্তি আপনার হজম শক্তি বাড়িয়ে তুলবে। প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে একগ্লাস জুস পান করতে পারেন। প্রতিদিন লেবুর জুস পানের অভ্যাস তৈরি হলে সারাদিনে আপনার হজমের সমস্যা দূর হবে। হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে কমলার জুসও খুব কাজের। চিনি বাদে কমলার জুস করে পান করলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

খাদ্য সঠিকভাবে হজম করাতে পানীয় পানির কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আধা লিটার পানি পানের অভ্যাস করলেও দারুণ উপকার পাবেন। তাছাড়া খাবার খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পানি পান খাবার হজম ক্ষমতা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। তাই পানি পান অব্যাহত রেখে তাৎক্ষণিক উপকার পেতে খেতে উল্লেখিত এসব জুস।



মন্তব্য চালু নেই