যে কারণে বাঁধাকপি খাবেন

সারাবছর কমবেশি পাওয়া গেলেও শীতকালীন সবজি হিসেবেই বেশি কদর বাঁধাকপির। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল। কাঁচা কিংবা রান্না করে- দুইভাবেই খাওয়া যায় এই জনপ্রিয় সবজিটি। শুধু সবজি হিসেবে নয়, সালাদ হিসেবে প্রচুর পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।

বাঁধাকপির সবুজ পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই ও পটাশিয়াম রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ফাইবার, ফোলেট এবং থিয়ামিন। এটি হরমোনজনিত ক্যান্সার বিশেষ করে মেয়েদের ওভারিতে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এন্স মিথাইলমিথিওনিন নামের এক ধরনের কেমিক্যাল বিদ্যমান থাকায় আলসারের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

কাঁচা বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। তাই বাঁধাকপির পাতা কুচি করে কেটে সালাদ হিসেবে খেতে পারেন। কিন্তু বেশি সিদ্ধ হলে বেশিরভাগ উপাদান নষ্ট হয়ে যায়।

বাজারে লাল বাঁধাকপিও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এ লাল বাঁধাকপিতে ফাইবার বেশি থাকে। এছাড়া ভিটামিন সিও যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যমান রয়েছে। সবুজ বাঁধাকপির চেয়ে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রনের পরিমাণ লাল বাঁধাকপিতে বেশি থাকে।

বাঁধাকপি ভিটামিন বি নিঃসরণে সাহায্য করে। ব্রেস্ট ক্যান্সার এবং কোলন ক্যান্সারের জন্য বাঁধাকপি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়া বাজারে লাল বাঁধাকপি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এটি অবশ্য সবুজ বাঁধাকপির মতো নরম হয় না। তবে সালাদ হিসেবে খেতে পারেন।

বাঁধাকপি কেটে বেশিক্ষণ ফেলে রাখবেন না। পেপার ব্যাগ বা প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রাখুন। এর ভেতরের অংশে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি বহন করে। তাই ফেলে না দিয়ে বাঁধাকপির পুরো অংশটাই সালাদ বা রান্নায় ব্যবহার করুন।



মন্তব্য চালু নেই