যে কারণে প্রিন্সেস ডায়ানা এখনও স্টাইল আইকন

ডায়ানা সারা বিশ্বের কাছে এক দারুণ জনপ্রিয় নাম। ১৯৮১ সালে ব্রিটেনের প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিয়ে হয় প্রিন্সেস ডায়ানার। এরপর নানা কারণে তিনি শুধু ব্রিটেনবাসী নয় যেন সারা বিশ্বের মানুষের কাছে ফ্যাশনের এক আইকন হয়ে ওঠেন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টেলিগ্রাফ।
এখনও প্রিন্সেস ডায়ানার নানা বিষয় নিয়ে প্রদর্শনী হয়। রবিবার যুক্তরাজ্যের কেনসিংটন প্যালেসে শুরু হয়েছে তার ফ্যাশনের ওপর একটি প্রদর্শনী যার শিরোনাম, ‘প্রিন্সেস ডায়ানা : হার ফ্যাশন স্টোরি।’ এতে তার বিভিন্ন সময়ের ফ্যাশনের ওপর প্রদর্শনী করা হবে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ডায়ানার পরিচিতি ব্যাপক। তিনি দানশীলতার জন্য খ্যাত ছিলেন। কিন্তু তাঁর এই দাতব্য কার্যক্রম ঢাকা পড়ে যায় বিভিন্ন কেলেঙ্কারীর গুজবে, যার মধ্যে ছিল তাঁর বিয়ে সংক্রান্ত কাহিনী। চার্লসের সাথে ডায়ানার বিয়ে সুখে-শান্তিতে কাটেনি। নব্বুইয়ের দশকে ডায়ানার পরকীয়া প্রেমের কাহিনী সারা বিশ্বের পত্র-পত্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে। নানা কারণে অবশেষে ১৯৯৬এ তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।
চার্লসের সাথে ১৯৮১ খ্রীস্টাব্দে বাগদানের পর থেকে ১৯৯৭ খ্রীস্টাব্দে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ডায়ানাকে বলা হত পৃথিবীর সবচেয়ে খ্যাতিমান মহিলা।
ফ্যাশন, সৌন্দর্য, এইডস রোগ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে তাঁর অবদান, এবং ভূমি মাইনের বিরুদ্ধে তাঁর আন্দোলন তাঁকে বিখ্যাত করেছে। তাঁর জীবদ্দশায় ডায়ানাকে বলা হত বিশ্বের সর্বাধিক আলোকচিত্রিত নারী। অবশ্য সমালোচকদের মতে এই খ্যাতি এবং খ্যাতির জন্য প্রচেষ্টাই ডায়ানার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
তিনি সর্বদা নিজের ফ্যাশন সচেতন উপস্থিতি বজায় রাখতেন। আন্তর্জাতিক কিংবা স্থানীয় যে কোনো পরিস্থিতিতেই তিনি তার উপস্থিতি বজায় রাখতেন অত্যন্ত ফ্যাশনের সঙ্গে। আর এসব বিষয় ছাড়া রয়েছে তার জনকল্যাণমূলক কাজ, যা তাকে খ্যাতি এনে দিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই