যে কারণে নড়াইলের মানুষ মাশরাফিকে ‘প্রিন্স অব হার্টস’ নামে ডাকেন

তাঁকে নড়াইল এক্সপ্রেস বা ম্যাশ নামে সবাইর চেনা । হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কথাই বলছি। ডাক নাম কৌশিক। জম্ম: ৫ অক্টোবর,১৯৮৩। বাবা গোলাম মুর্তজা ও মা হামিদা মুর্তজা ।

খুলনা বিভাগের নড়াইলে জম্ম মাশরাফির। ছোটবেলা থেকে নানী বাড়িতে বেশি সময় কেটেছে তার। পড়াশোনার পরিবর্তে ফুটবল ও ব্যাটমিন্টনের প্রতি বেশি মনোযোগী ছিলেন। কিন্তু তরুণ বয়সে এসে ক্রিকেটের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। নড়াইলে গেলে এলাকাবাসীদের সাথে অনেকটা সময় কাটান। তাইতো এলাকাবাসীর রয়েছে মাশরাফি প্রতি এক অকৃত্রিম ভালোবাসা। ভালোবেসে নড়াইলের মানুষ মাশরাফির নাম দিয়েছেন ‘প্রিন্স অব হার্টস’।

মাশরাফি ২০০১ সালে নড়াইল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০০৩ সালে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগে ভর্তি হন। ক্রিকেটের কারণে পড়াশোনা আর শেষ করতে পারেননি।

এক এলাকার মেয়ে সুমনা হক সুমির সাথে ছোটবেলা থেকে অনেকটা চেনা-জানা মাশরাফির। একটা সময় সেই চেনা-জানা ভালবাসাতে পরিণত হয়। আর তাদের এই ভালবাসার কথা এলাকার কারো অজানা ছিল না। পরবর্তীতে ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাদের বিয়ে হয়। বর্তমানে মাশরাফি এক মেয়ে ও এক ছেলের বাবা। মেয়ে: হুমায়রা মুর্তজা, ছেলে: সাহেল মুর্তজা ।

পছন্দর খাবার-দাবারে নেই কোনো বিলাসীতা। পছন্দের তালিকায় রয়েছে মায়ের হাতের রান্না করা মাছ, ডাল, আলুভর্তা, ডিমভর্তা। তবে বাইরের খাবারের ভিতর ন্যানদোসের স্টেক তার পছন্দ।

ব্যাক্তিগত জীবনে মাশরাফি সাদামাটা হলেও রয়েছে নিজেস্ব কিছু শখ-আল্লাদ। পোশাক বলতে জিনস ও টি-শার্ট খুব পছন্দ করেন। তবে মাঝে মাঝে শার্টও পরেন। ডিজেল, জ্যাক অ্যান্ড জন, বানানা রিপাবলিক ব্র্যান্ডের জিনস তার খুব পছন্দের। এছাড়া রেইডারস, নাইকি, এডিডাস, গ্যামবল ব্র্যান্ডের স্লিপারও মাশরাফির পছন্দ। মজার বিষয় হল, লুঙ্গির প্রতি ম্যাসের রয়েছে এক অদ্ভূত দুর্বলতা। বিশ্রামের জন্য লুঙ্গিই তার কাছে বেশি আরামদায়ক। ম্যাসের রয়েছে সানগ্লাস সংগ্রহের এক বড় নেশা। তার শো-কেসে রয়েছে পুলিস, রে-ব্যান, ওকলি ও আরমানি ব্র্যান্ডের প্রায় শ-খানেক সানগ্লাস।

বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডা দেয়া ম্যাশের খুব পছন্দের। মাঝে মাঝে তার মিরপুর বাসার পাশের চা কিংবা কম্পিউটারের দোকানে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডা দিতে দেখা যায়। এছাড়া সময়-সুযোগ পেলে বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে চলে যান শহর থেকে একটু বাইরে কোনো নদীর তীরে বা সুন্দর কোনো জায়গায়। অবসরে নিজ ফ্যামিলিকে সময় দেয়া, তাদের সাথে নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে ভুল করেন না মাশরাফি। এছাড়া মাঝে-মাঝে বাসয় ছেলে-মেয়ের সাথে দুষ্টমিতে মেতে থাকেন তিনি।

মাশরাফি প্রাইভেট কারের চেয়ে বাইক চালাতে বেশি পছন্দ করেন। গ্রামের বাড়িতে গেলে বাইক নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়ান। গত ১৮ বছর যাবত একই বাইকে এখনও আছেন। দশম শ্রেণি থেকে চালিয়ে আসছেন বাইকটি। বাইকপ্রিয় মর্তুজাকে সবাই খুব হাসিখুশি আর উদারচেতা মানুষ হিসেবেই জানে। প্রায়শঃই তিনি বাইক নিয়ে স্থানীয় ব্রিজের এপার-ওপার চক্কর মেরে আসেন। নিজের শহরে তিনি প্রচণ্ড রকমের জনপ্রিয়



মন্তব্য চালু নেই