যে কাজটি আপনার অজান্তেই বাড়াচ্ছে ইলেকট্রিক বিল

একটা সময়ে ঘরে ইলেকট্রনিক জিনিস ছিলো কম। ফ্যান, লাইট, টিভি, হয়তোবা ফ্রিজ। এখন আর হিসেবটা এত সহজ নয়। প্রচুর পরিমাণে গ্যাজেট থাকতে পারে ছোট একটি বাড়িতেও। আর এসব গ্যাজেট ম্যানেজ করতে গিয়ে একটি ভুলে বাড়ছে আপনার খরচ। আপনি যখন ব্যবহার করছেন না, তখনো এসব গ্যাজেট বিদ্যুৎ খরচ করছে। ফলে মাসের শেষে বাড়ে আপনার ইলেকট্রিক বিল।

এমনকি স্ট্যান্ডবাই অথবা স্লিপ মোডে রাখলেও বিভিন্ন গ্যাজেট প্রচুর ইলেকট্রিসিটি খরচ করে। আপনার পকেটের ওপর তো বটেই, পরিবেশের ওপরেও আছে এর ক্ষতিকর প্রভাব। ইলেকট্রিসিটি উৎপাদনের সময়ে প্রচুর কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়।

অনেক বেশী বিদ্যুৎ খরচ করে বিভিন্ন কেবল বক্স এবং চার্জার লাগিয়ে রাখা ল্যাপটপ প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচের জন্য দায়ী। মডেম এবং রাউটারের সাহায্যে হাই স্পিড ইন্টারনেট ব্যবহার করলে খুব বেশী বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় না, কিন্তু বছর শেষে তা ঠিকই আপনার খরচ বাড়াবে। অনেক টিভির জন্যও এই কথাটি প্রযোজ্য। ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত “স্মার্ট” টিভি, “কুইক স্টার্ট” মোডে থাকা টিভি বেশী বিদ্যুৎ খরচ করে।

ইদানিং অনেকে লাইট, ওভেন, ফ্রিজ এসব ইলেকট্রনিক যন্ত্রকেও ব্যবহারের সুবিধার্থে অনেকে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করে দেন। ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকতে হলে এদেরও সর্বক্ষণ বিদ্যুৎ ব্যহার করতে হয়।
কী করে কমাবেন বিদ্যুতের এমন অপচয়। সব চাইতে সহজ উপায় হলো এমন সব ডিভাইস আনপ্লাগ করা যেগুলো সচরাচর ব্যবহার করা হয় না। টিভি, গেমিং কনসোল, স্পিকার, ডিভিডি প্লেয়ার, স্ট্রিমিং ডিভাইস, কেবল ডিভাইস এগুলো সব একই মাল্টিপ্লাগের সাথে সংযুক্ত করুন, যাতে সবগুলো একটি সুইচের সাহায্যে বন্ধ করে দেওয়া যায়।

কিছু কিছু ডিভাইসের পাওয়ার সেটিং পরিবর্তন করে দেওয়া যায়, টিভির কুইক-স্টার্ট সেটিং বন্ধ করে রাখতে পারেন। কম্পিউটার কিছু সময় পর যেন স্লিপ মোডে চলে যায় সেই ব্যবস্থা করে রাখতে পারেন। তবে মনে রাখুন, ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকা গ্যাজেট সবসময়েই কিছু না কিছু বিদ্যুৎ খরচ করবে।

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট



মন্তব্য চালু নেই