যেসব শিশু আত্মহত্যার ঝুঁকিতে বেশি!

শৈশবে যারা মা-বাবা হারান তাদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি আত্মহত্যার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান তিনটি দেশের শিশুদের ওপর গবেষণা চালিয়ে এর প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকরা। ৪০ বছর ধরে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হয়।

গবেষকরা বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল, শৈশবে যাদের মা-বাবা মারা গেছে তাদের মধ্যে আত্মহত্যার যে ঝুঁকি তৈরি হয় তা প্রশমনের চেষ্টা করা।

ডেনমার্ক আরহুস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মাই ব্রিট গুলডিন ও তার সহকর্মীরা সুইডেন, ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ডের ১৯৬৮ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৪৩ লাখ ব্যক্তির নিবন্ধিত তথ্য সংগ্রহ করেন। এরমধ্যে এক লাখ ৮৯ হাজার ৯৪ জন শিশুকে শনাক্ত করা হয় যাদের ১৮ বছর হওয়ার আগেই তাদের মা-বাবা মারা যায়।

গবেষকরা প্রতি ১০ জন এতিম শিশুর সাথে মা-বাবা আছে এমন ১০টি শিশুদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি আত্মহত্যার ঝুঁকির সাথে তুলনা করা হয়। দুটি পক্ষকেই ৪০ বছর পর্যন্ত অনুসরণ করা হয়।

অনুসরণকালীন সময়ে দেখা যায়, শৈশবে মা-বাবা হারিয়েছে এমন ০.১৪ শতাংশ ব্যক্তি আত্মহত্যা করে। আর যারা হারাননি তাদের আত্মহত্যার পরিমাণ ছিল ০.০৭ শতাংশ।

গবেষকরা জানায়, আত্মহত্যার ঝুঁকিটা মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের বেশি ছিল।



মন্তব্য চালু নেই