যেমন খুশি তেমন খেয়েও কমান আপনার ওজন

শিবরাত্রি, নীলষষ্ঠী, অশোক ষষ্ঠী। মা-ঠাকুমাদের এইসব বারব্রতয় আপনার কি হাসি পায়? এসবকে আদ্যিকালের প্রথা ভেবে নাক কুঁচকান? চিকিত্‍সাশাস্ত্র কিন্তু বলছে অন্য কথা। আমাদের মা-ঠাকুমাদের দীর্ঘ সুস্থ কর্মক্ষম জীবনের রহস্য কিন্তু এই উপাসেই লুকিয়ে।
রোগা হওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেও যদি ফল না পান, নিয়ম মেনে উপাস করলে হাতেনাতে ফল পাবেন বলে দাবি চিকিত্‍সকদের। তবে যখন খুশি খাওয়া বন্ধ করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। জেনে নিন স্বাস্থ্যসম্মত উপাসের সঠিক হাল-হকিকত্‍।

সপ্তাহে সাত দিনের মধ্যে পাঁচ দিন যা ইচ্ছে খান, আর দু-দিন উপাস করুন। তাতেই কেল্লা ফতে। তবে পরপর দু-দিন উপোস করবেন না। তাতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। উপাসের সময় সলিড কিছু না খেলেও লিকুইড ডায়েট নিন। যেমন গ্রিন টি, স্যুপ, ফলের রস বারে বারে খান। অন্তত ২ লিটার জল পান করুন সারা দিনে। খিদে পেলে নিজেকে অন্য কাজে ব্যস্ত রাখুন। খিদের বোধ একটা ঢেউয়ের মতো আসে, আবার কিছুক্ষণ পর চলে যায়। নেহাতই সারা দিন না খেয়ে থাকতে পারলে, আগের দিন ভালো করে ডিনার করুন। পরদিন সকালে ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চ স্কিপ করে একবারে ডিনার করুন। তাতেই দু-বারের খাওয়ার মধ্যে ২৪ ঘণ্টার তফাত্‍ হয়ে যাবে।

উপাস ভাঙার সময় কী খাবেন, সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন। গ্রিলড চিকেন ভালো অপশন হতে পারে। তবে খুব বেশি যাতে খাওয়া না হয়ে যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। আপনি যে উপাস করছেন, সে বিষয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা না করাই ভালো। কারণ বেশিরভাগ লোকজনই আপনাকে নিরাশ করার চেষ্টা করবে। প্রথম প্রথম কষ্ট হলেও, দু-তিন সপ্তাহের মধ্যেই আপনার শরীর এই উপাস করার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। তখন সহজেই আপনি উপাসের রুটিন মানতে পারবেন। এমনকি হলিউড স্টাররাও স্লিম ও ট্রিম থাকতে এই উপাসের নিয়মই মেনে চলেন।

ডাক্তারদের মতে উপাস করলে মোটেও শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে না। বরং সেই সময় আমরা আরও বেশি সজাগ হয়ে উঠি। আমরা নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করলে পাকস্থলী সেই খাদ্যকে ভেঙে রক্তে গ্লুকোজ মেশায়। এই গ্লুকোজ রক্তে জমে শক্তি উত্‍পন্ন করে। ৬ থেকে ২৪ ঘণ্টার উপবাসের পর রক্তে জমা এই গ্লুকোজ ভাঙা শুরু হয়। জমে থাকা গ্লুকোজ শেষ হলে তারপর ফ্যাট ভাঙা শুরু হয়।



মন্তব্য চালু নেই