যেভাবে শপিংয়ে কোয়ালিটি বুঝে নেবেন!

শপিংয়ের নাম শুনলেই মন ভালো হয়ে যায়। শপিংয়ের ক্রেজ নারীদেরই বেশি। এমন কোনও নারী নেই, কেনাকাটা করতে ভালোবাসেন না। পুরুষরাও যে একেবারে এই লিস্ট থেকে বাইরে, তাও নয়। শপিং প্রেমীদের কেনাকাটা করতে কোনও কারণ লাগে না। সময় পেলেই কারণে অকারণে ঢু মারেন শপিং মলে। কিন্তু শুধু কেনাকাটা করলে হবে কী? পোশাকের কোয়ালিটিও যাচাই করে দেখা দরকার। এই আসল-নকলের যুগে কোনটা ভালো কোনটা নয়, মানে পোশাকের কোয়ালিটি বুঝে নিন এইভাবে –

১) ফিটিংস : সাধারণ দোকান থেকে কোনও পোশাক কিনুন আর কোনও ব্র্যান্ডেড পোশাক কিনুন। দুটোর মধ্যে পার্থক্যটা খুব ভালো বুঝতে পারবেন। ব্র্যান্ডেড ও কোয়ালিটি পোশাক সবসময় খুব ভালো ফিট করে। শরীরের গড়ন অনুযায়ী হয়। উলটো দিকে সাধারণ দোকানের পোশাকের ফিটিংস কখনই ভালো হয় না।

২) মেটেরিয়াল : সবচেয়ে ভালো সুতি, উল ও সিল্কের পোশাক। এইসব ফ্যাব্রিকের পোশাক পরেও যেমন আরাম, তেমনই অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।

৩) সেলাই : আলগা সেলাই মানেই, অল্পেতেই খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা। তাই পোশাক কেনার আগে ভালো করে তার সেলাই দেখে নিন। নয়তো কিনে আনার পরই দেখলেই সেলাই খুলে বিচ্ছিরি অবস্থা!

৪) ডিজাইন : পোশাকের ডিজাইন যাই হোক না কেন, তাতে সামঞ্জস্য থাকা মাস্ট। যেখানে সেখানে অহেতুক বোতাম, পকেটযুক্ত পোশাক একেবারেই বেমানান। পোশাক কেনার আগে এগুলো দেখে নিন।

সবশেষে পোশাক কেনার আগে, সামান্য ঘষলেই বুঝবেই তা কতটা ভালো। সামান্য ঘষাঘষিতেই যদি পোশাক খুঁজতে বিগড়ে যায়, সেটা হতে পারে খারাপ মেটিরিয়ালের। একবার পরার পরই পুরনো দেখাবে। তাই পোশাক কেনার আগে কোয়ালিটি বুঝে নেওয়া মাস্ট। আরে বাবা, শপিং করে মন খুশ হয়ে যায় ঠিকই। তা বলে কি নকল থেকে সাবধান থাকবেন না?

সূত্র: ইনাদুইন্ডিয়া



মন্তব্য চালু নেই