যেভাবে নিজামীর ফাঁসি কার্যকর
মানবতাবিরোধী অপরাধে আলবদর নেতা ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে এটি ফাঁসি কার্যকরের পঞ্চম ঘটনা।
মঙ্গলবার রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে পরিবারের ২৩ সদস্য তিনটি গাড়িতে করে নিজামীর সঙ্গে শেষ দেখা করতে কেন্দ্রীয় কারাগারে যান। তারা ৯টা ৩৩ মিনিটে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন।
পরিবারের সদস্যরা পৌঁছানোর সময় ফাঁসি কার্যকরের নির্বাহী আদেশ পৌঁছায় কারাগারে। রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার সিভিল সার্জন মালেক মৃধা প্রধান ফটক দিয়ে কারাগারে প্রবেশ করেন। ১০টার পর প্রবেশ করেন ভারপ্রাপ্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. ইকবাল হাসান। এর পরপরই ঢাকার জেলা প্রশাসক সালাহউদ্দিন, ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রতিনিধি ডিবির উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম, লালবাগের উপকমিশনার মফিজ উদ্দিন আহমেদ কারাগারে প্রবেশ করেন।
তারা কারাগারে প্রবেশের পর নিজামীকে গোসল করানো হয়। এরপর নিজামী নামাজ আদায় করেন। পরে কারাগারের মসজিদের ইমাম তাকে তওবা পড়াতে গেলে তিনি নিজেই তওবা পড়েন। এ সময় ফাঁসির মঞ্চের চারপাশে অবস্থান নেন ১০ জন সশস্ত্র কারারক্ষী।
১২টার আগে রাজুর নেতৃত্বে ৪-৫ জন জল্লাদ নিজামীকে যমটুপি পরিয়ে হাত ধরে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যান। মঞ্চে তোলার পর তার গলায় ফাঁসির দড়ি পরানো হয়। জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেটের সংকেত পেয়ে জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর কবির তার হাতে থাকা রুমাল মাটিতে ফেলে দেন। সঙ্গে সঙ্গে জল্লাদ রাজু ও তার সহযোগীরা লিভার টেনে ফাঁসি কার্যকরে সহযোগিতা করেন। সিভিল সার্জন মালেক মৃধা ১২টা ১০ মিনিটে নিজামীর মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
রাত ১২টা ৩৩ মিনিটে দুটি অ্যাম্বুলেন্স লাশ নিতে কারাগারে ঢোকে। দেড়টায় অ্যাম্বুলেন্স দুটি কারাগার থেকে বের হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাহারায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স রওনা দেয় পাবনার সাঁথিয়ার উদ্দেশে। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মনমথপুর মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে নিজামীকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই