যেখানে মৃত ব্যাক্তির হাড় স্যুপের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হয়

পৃথিবীতে আজও এমন বেশ কিছু রীতি বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত রয়েছে, যা সভ্য সমাজে বসে বিশ্বাস করা কঠিন। এইসব রীতি শুধু প্রাচীন নয়, সভ্য সমাজের দৃষ্টিকোণ থেকে বহুলাংশে ভয়াবহ, এবং অমানবিকও।

১) কোবরা গোল্ড: প্রতি বছর থাইল্যান্ড, আমেরিকা, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, সাউথ কোরিয়া, মালেশিয়ার মতো দেশগুলি থেকে সৈন্যরা থাইল্যান্ডে যান একটি ১১ দিন ব্যাপী মিলিটারি এক্সারসাইজে অংশগ্রহণ করতে। এই যৌথ সেনা মহড়ার নাম কোবরা গোল্ড।

এই মহড়ায় সেনাদের শেখানো হয় কীভাবে চরম প্রতিকূল অবস্থাতেও বেঁচে থাকা যায়। তারই অংশ হিসেবে বিষাক্ত কেউটে সাপ মেরে তার রক্তপান, জ্যান্ত মুরগির মাথা চিবিয়ে খাওয়া কিংবা কাঁকড়া বিছে খাওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

২) মৃতদেহের সঙ্গে বসবাস: থাইল্যান্ডের তোরাজা উপজাতির মানুষরা বছরে একবার করে কবরস্থ আত্মীয়দের মৃতদেহ তুলে আনেন কবর থেকে।

মৃতদেহগুলি পরিস্কার করে নতুন পোশাকে সজ্জিত করা হয়। তারপর সুসজ্জিত মৃতদেহগুলিকে নিয়ে চলে শোভাযাত্রা। তোলা হয় মৃতদেহের সঙ্গে সেলফিও। তারপর পুনরায় তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় কবরে। তোরাজা উপজাতির মানুষদের বিশ্বাস, এমনটা করলে খুশি হয় মৃত প্রিয়জনের আত্মা।

৩) নরমাংস ভক্ষণ: পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে নরমাংস ভক্ষণ আইনত নিষিদ্ধ হলেও ইন্দোনেশিয়ান নিউ গিনিতে বসবাসরত কোরোওয়াই উপজাতির মধ্যে এখনও মানুষের মাংস খাওয়ার রীতি রয়ে গিয়েছে। এরা তাদের সমাজভুক্ত ওঝাদের মাংস খেয়ে থাকে। ওঝার মাথার ঘিলুটাই সবার আগে খাওয়ার রীতি রয়েছে।

এছাড়াও অ্যামাজনের ইয়োনোমামি উপজাতির মধ্যেও নরমাংস খাওয়ার রীতি প্রচলিত। এরা মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে হাড়গুলি বার করে শুকিয়ে নেয়। মৃত্যুর ৪৫ দিন পরে শুকনো হাড় গুঁড়ো করে কলার স্যুপের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হয়। মৃত্যুর এক বছর পরে সংরক্ষিত মৃতদেহের মাংস পুড়িয়ে সেই ভস্ম সেবন করে এরা। ইয়োনোমামিদের বিশ্বাস, এমনটা করলে মৃত ব্যক্তির আত্মার স্বর্গলাভের পথ প্রশস্ত হয়।



মন্তব্য চালু নেই