যুবরাজের ষাঁড়ের ইনকাম বছরে ৫০ লাখ!

নাম তার যুবরাজ সিংহ। বছর শেষে সিমেন বেচে উপার্জন প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। উচ্চতা ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি। তবে ইনি ক্রিকেটার নন, ‘মাত্র’ ১৪০০ কেজি ওজনের একটি হৃষ্টপুষ্ট ষাঁড়। কিছু দিন আগেই তাকে ভারতের সেরা গবাদি পশু হিসাবে বেছে নিয়েছেন ১০ সদস্যের জুরি বোর্ড। দাম উঠেছিল সাত কোটি টাকা! কিন্তু যুবরাজের ‘পিতৃবৎ’ মালিক কর্মবীর সিংহ জানিয়ে দিয়েছেন, জীবনের সব কিছু মোটেও বিক্রয়যোগ্য নয়।

যুবরাজকে তিনি নিজের ছেলের মতোই ‘মানুষ’ করে তুলেছেন। কোটিপতি এই ষণ্ডের খোড়াকিও কিন্তু নেহাত কম নয়। যুবরাজের দৈনিক ডায়েটে রয়েছে ২০ লিটার দুধ, ৫ কেজি আপেল, ১৫ কেজি গো খাদ্য। তার দেখভালেই মাসে নাকি ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় কর্মবীরের। তবে যুবরাজ কিন্তু পরিবারের খেয়াল রাখে। মাসে লাখ চারেকের বেশি ইনকাম তার। মধ্য বয়স্ক পালক পিতার হাতে তার পুরোটাই তুলে দেয় সে। যুবরাজ মুরাহ ব্রিডের অত্যন্ত উচ্চমানের প্রজাতির ষাঁড়। দিনে সাড়ে তিন থেকে পাঁচ মিলিলিটার উচ্চমানের সিমেন দেয় সে। সেটাকে পাতলা করে ৩৫ মিলিমিটারের সিমেন সল্যুউশন পাওয়া যায়।

মুরা ব্রিডের গাভিদের কৃত্রিম ভাবে নিষিক্ত করতে যুবরাজের সিমেনের ব্যপক চাহিদা। মোটামুটি ০.২৫ মিলিমিটার সিমেনই নিষেকের পক্ষে যথেষ্ট। এইটুকু সিমেনের বাজারি দর দেড় হাজার টাকা। অর্থাৎ ওই সিমেন বেচে যুবরাজ দিনে প্রায় ৩০ হাজার টাকা অবধি উপার্জন করতে পারে। তবে সিমেন বেচে এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বাছুরের জেনেটিক বাবা হয়ে গেলেও, যুবরাজের কিন্তু এখনও কোনও সঙ্গিনী জোটেনি। এই প্রবল ‘ষাঁড়ের’ খুব শিগগিরি একটি শক্তিশালী প্রেয়সী খুঁজছেন কর্মবীর।



মন্তব্য চালু নেই