যুক্তরাজ্যে কার্গো পরিবহন সহসা চালু হচ্ছে না
বাংলাদেশ থেকে আকাশ পথে সরাসরি যুক্তরাজ্যে কার্গো পরিবহন সহসা চালু হচ্ছে না। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নতির ফলে অস্ট্রেলিয়া সরকার গত ডিসেম্বরে আকাশ পথে কার্গো পরিবহনে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিলেও যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে এখনো তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি।
গত মার্চ মাসে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেয়া এক চিঠিতে যুক্তরাজ্যে সরাসরি কার্গো পণ্য পরিবহন আপাতত স্থগিত থাকবে বলে জানায়। ওই চিঠিতে ৩১ মার্চের মধ্যে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা ব্যক্ত করা হয় অন্যথায় যাত্রীবাহী বিমান পরিবহনও বিঘ্নিত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেয়া হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, লন্ডনে সরাসরি পণ্য পরিবহন স্থগিত হওয়ায় বাংলাদেশ বিমান ও কার্গো পণ্য পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বাংলাদেশ বিমানের জিএম আলী আহসান বাবু গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, বাংলাদেশ বিমানের লন্ডনের সরাসরিসহ লন্ডনগামী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে আগে প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ টন বিভিন্ন ধরনের কার্গো পণ্য পরিবহন করা হতো। প্রতিদিন বিমান পণ্যে পরিবহনা ভাড়া বাবদ ৩০ লাখ থেকে ৩৫ লাখ টাকা পেতো। বর্তমানে তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকায় তা আয় হচ্ছে না।
সোমবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জানান, গত বছরের ৫ নভেম্বর মিসরের অবকাশ নগরী শার্ম আল শেখের আকাশে একটি রুশ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়। ফলে বিশ্বব্যাপী সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি ব্যাপক সমালোচিত হয়। ওই সময় ১৮টি দেশের ৩০টি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবার সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও ছিল।
নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে গত ২৪ মার্চ থেকে রেডলাইন অ্যাসিউররড সিকিউরিটিকে নিয়োগ দেয়া হয়। তারা শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে। অচিরেই সিভিল অ্যাভিয়েশনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদান করবে তারা।
মন্ত্রী জানান, ৫ মে শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ আরএথ্রি (ইউরোপীয় ইউনিয়ন অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি ভেলিডেটেড রেগুলেটেড এজেন্ট) হিসেবে মর্যাদা লাভ করে। ইউরোপীয় দেশগুলোতে আকাশপথে কার্গো পরিবহনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্গো নিরাপত্তা সম্পর্কিত বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী মর্যাদালাভ করে।
তিনি জানান, রেড লাইন কর্তৃক প্রস্তাবিত পরিকল্পনা মোতাবেক একটি আলাদা বর্ধিত নিরাপত্তা জোন তৈরি করা হয়। প্রাথমিকভাবে তিনটি এয়ারলাইন্সকে ওই নিরাপত্তা জোনের মাধ্যমে কার্গো হ্যান্ডেলিং এর জন্য নির্বাচিত করা হয়।
অনেক উদ্যোগ নেয়া হলেও যুক্তরাজ্য কবে নাগাদ সরাসরি কার্গো পণ্য পরিবহনে অনুমতি প্রদান করবে এমন প্রশ্নে রাশেদ খান মেনন সুনির্দিষ্ট দিন ও ক্ষণ জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য চালু নেই