যশোরের খবর (২/৯/১৪)

## যশোর সাজিয়ালি পুলিশ ক্যাম্প থেকে নিখোঁজ আনসার সদস্য খুলনার দাকোপ থেকে উদ্ধার:
যশোর অফিস: যশোর কোতয়ালি থানার অন্তর্গত সাজিয়ালি পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য আবু তাহেরকে অবশেষে উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ।রোববার রাতে খুলনার দাকোপ উপজেলার চালনা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। শনিবার দুপুরের পর থেকে নিখোঁজ হয় তিনি।যশোরে কর্মরত সহকারী পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল মিলু মিয়া বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান,সাজিয়ালি পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত আনসার সদস্য আবু তাহের শনিবার সকালে ক্যাম্পের কাউকে কিছু না জানিয়ে খুলনার পাইকগাছায় যান। সন্ধ্যায় নিয়ম মোতাবেক পুলিশ ক্যাম্পে রোল কলের সময় উক্ত ক্যাম্পের এসআই তুহিনুজ্জামান তাকে না পেয়ে খোঁজ-খবর নিতে শুরু করে। ধারণা করা হচ্ছে কেউ তাকে প্রলোভন দিয়ে নিয়ে গেছে। যে কারণে তিনি কাউকে না জানিয়ে ক্যাম্প থেকে বের হন।এদিকে, আবু তাহেরের নিখোঁজের ঘটনায় রবিবার বিকেলে সাজিয়ালি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই তুহিনুজ্জামান কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন । ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে চালনার একটি রাস্তার ধারে আহত ও বিধ্বস্ত অবস্থায় আবু তাহেরকে উদ্ধার করেন এএসপি মিলু মিয়া বিশ্বাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম।মিলু মিয়া বিশ্বাস জানিয়েছেন, আবু তাহেরকে উদ্ধার করে রাতেই আনসার ব্যাটালিয়নের যশোরের নাভারণস্থ দপ্তরে হস্তান্তর করা হয়।নাভারণ আনসার দপ্তরের ব্যাটালিয়ন কোয়ার্টার মাস্টার-বিকিউএম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, রাত ১২টার দিকে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে। কী কারণে বা কারা তাকে অপহরণ করে- সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।তিনি বলেন, পুলিশ ও আনসার ব্যাটালিযয়নের একটি যৌথ টিম আজ (সোমবার) ঘটনাস্থলে (খুলনার দাকোপ উপজেলার চালনা) যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখান থেকে ফিরে আসার পর মূল ঘটনা জানা যাবে বলে তিনি বলেন। তবে যতটুকু জানা গেছে, পাইকগাছা থেকে তাকে প্রথমে একটি ট্রলারে করে গড়াইখালি নেয়া হয়। এরপর বাজুয়া,মোংলা সেখান থেকে দাকোপ হয়ে চালনায় নেয়া হয়।অপহরণকারীরা তার পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে এবং আবু তাহেরকে উদ্ধারে পুলিশের ব্যাপক তৎপরতার কারণে তাকে মারধর করে রাস্তার ধারে ফেলে রাখা হয় বলে পুলিশের বিভিন্ন সুত্রগুলো জানিয়েছে।

## যশোর শহর থেকে মটরসাইকেল চুরি:
যশোর অফিস: সোমবার দুপুরে যশোর শহরের এমকে রোডস্থ বেসিক ব্যাংকের নীচ থেকে মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে।যশোর শহরের চাঁচড়া মোড়ের ব্যবসায়ী সাব্বির হোসেন জানিয়েছেন,তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সোহেল ম্যানেজার সোমবার দুপুর আনুমানিক পৌনে ২টার দিকে (যশোর-হ-১২-৭১৬৮) নম্বরের মোটর সাইকেল নিয়ে এমকে রোডস্থ বেসিক ব্যাংকের নীচে রেখে প্রয়োজনীয় কাজে ব্যাংকে যান। ব্যাংকের কাজ সেরে ১৫ মিনিট পর এসে দেখেন মোটরসাইকেলটি নেই। অজ্ঞাত নামা চোরেরা মোটর সাইকেলের তালা ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। এই ঘটনায় কোতয়ালি থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।

## যশোরে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় থানায় মামলা:
যশোর অফিস: যশোরে এক কলেজছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে রবিবার জসিম উদ্দিন নামে এক যুবককে আসামি করে মামলাটি করেন। জসিম যশোর সদরের ডহেরপাড়া গ্রামের আজাদ আলীর পুত্র
পুলিশ জানায়, যশোর সদর উপজেলার ফুলবাড়ি বাজারে জসিম উদ্দিনের মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকান আছে। সদর উপজেলার বারীনগর এলাকার কাজী নজরুল ইসলাম কলেজের এক ছাত্রীর সঙ্গে দোকানে আসা-যাওয়ার সূত্রে জসিমের পরিচয় হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বের হয় জসিম। একপর্যায়ে সে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একটি বাগানের মধ্যে নিয়ে তাকে যৌন নিপীড়ন করে। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেলে জসিম পালিয়ে যান।

## যশোরের শার্শায় হাতুড়ি পেটায় যুবক গুরুতর:
যশোর অফিস: যশোরের শার্শা উপজেলার আমতলা গাতীপাড়া গ্রামে সোমবার দুপুরে দুর্বৃত্তদের হাতুড়িপেটায় মাসুদ রানা (১৮) নামে এক যুবক আহত হয়েছেন। তিনি যশোরের শার্শা উপজেলার আমতলার গাতিপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের পুত্র।আহত মাসুদ রানা জানান,সোমবার দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর অবস্থান কালে আমতলা গাতিপাড়া গ্রামের তরিকুল, সোহেল, কালু ও জামারুলসহ ৪/৫জন তাকে হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে তার বাম পা ভেঙে যায়। পরে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে, কি কারণে তাকে হাতুড়ি পেটা করা হয়েছে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছুই তিনি জানাতে পারেননি।

## যশোর বিএডিসি থেকে সার উত্তোলন থেকে বঞ্চিত হয়েছে ৫১ ডিলার:
যশোর অফিস: যশোরের ঝিকরগাছা ও চৌগাছা উপজেলার বরাদ্ধকৃত টিএসপি এবং ডিএসপি সার বরাদ্ধে ঝিকরগাছার ডিলারদের সম্পূর্ণ বঞ্চিত করে চৌগাছার কতিপয় ডিলার মন্ত্রনালয়ের কতিপয় অসাধু ব্যক্তিদের সহযোগিতায় উত্তোলন করেছেন। এ ঘটনায় ঝিকরগাছার ডিলারদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ বিরাজ করছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাসিক চাহিদার অতিরিক্ত হিসেবে বরাদ্ধকৃত টিএসপি ও ডিএসপি সার ঝিকরগাছা ও চৌগাছা উপজেলার ডিলারদের মধ্যে উপ-বরাদ্ধের জন্য যশোর ২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড, মনিরুল ইসলাম ১১ আগস্ট ডিও পত্র দেন। ডিও লেটারে সকল ডিলারদের সমবন্টনের মাধ্যমে টিএসপি ও ডিএপি সার বরাদ্ধের তালিকা দেয়া হয়। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয়ের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সহযোগিতায় চৌগাছার ডিলার মেসার্স মেহেদী মাসুদ চৌধুরীর প্রোপাইটার মেহেদী মাসুদ চৌধুরী নিজে ২শত মেট্টিকটন টিএসপি, তার পরিবারের মেসার্স চৌধুরী ট্রেডার্স ২শত মেট্টিকটন এবং তারই আত্মীয় মেসার্স ইউনুস আলী ৩৫ মেট্টিকটন, মেসার্স ফরিদুল ইসলাম ৩৫ মেট্টিক টন, মেসার্স দিপুর এন্টারপ্রাইজ ৩০ মেট্টিক টন টিএসপি সার উত্তোলন করে বাকি ৫১জন ডিলারদের বঞ্চিত করেছে। মন্ত্রণালয়ের এবং মাননীয় সংসদ সদস্যের শর্ত ভুলণ্ঠিত করে মেহেদী মাসুদ চৌধুরী নিজেই এ কাজ করেছে। ডিলাররা বলেছেন, প্রতিবছর মেহেদী মাসুদ চৌধুরী বিএডিসির টিএসপি সার বিভিন্ন ভাবে উত্তোলন করে অন্য ডিলারদের বঞ্চিত করে আসছে। দিনের পর দিন এভাবে টিএসপি সার উত্তোলন করলেও কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেনেও না জানার ভান করছে। ডিলারদের সূত্রে জানা গেছে, সরকারি দলের ছত্রছায়ায় চৌগাছার মেহেদী মাসুদ চৌধুরী প্রতিবছর এভাবে টিএসপি সার উত্তোলন করে কালো বাজারে বিক্রি করে দেয়। যার কারণে অন্যান্য ডিলাররা চাষীদের মধ্যে টিএসপি সার দিতে পারেন না। ফলে চাষীরা টিএসপি সার থেকে বঞ্চিত হয়ে বাজারে সার ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। এদিকে, ডিলাররা অভিযোগ করে বলেছেন, এখন থেকে ডিলারমধ্যে বরাদ্ধকৃত টিএসপি সারসহ বিএডিসির বীজ সঠিক ও সমবন্টন না করলে তারা প্রয়োজনে গণ আন্দোলন গড়ে তুলবেন।এ ব্যাপারে মেহেদী মাসুদ চৌধুরীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগীরা টিএসপি সার সঠিক ও সমবন্টনের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।

## যশোরে অস্ত্র গুলিসহ এক চাঁদাবাজ আটক:
যশোর অফিস: যশোরে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন আমিনুর রহমান (৩০) নামে এক চাঁদাবাজ। এ সময় তার কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল সোমবার শহরতলির ধর্মতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক আমিনুর শহরের আরবপুর রেললাইন এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে।
কোতয়ালি থানার এসআই শোয়েব উদ্দিন বলেন, সন্ত্রাসী আমিনুর এক ব্যক্তির কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দুপুরে সেই টাকা দেওয়ার জন্য ওই ব্যক্তি ধর্মতলায় আসেন। এর আগে বিষয়টি পুলিশ ও স্থানীয় লোকদের তিনি অবহিত করেন। তিনি আরও বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে সন্ত্রাসী আমিনুর ঘটনাস্থলে এলে স্থানীয়রা তাকে পাকড়াও করে বেধড়ক মারধর করে। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। তার কাছ থেকে একটি ওয়ান শ্যুটারগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। আটক আমিনুর বিরুদ্ধে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ দস্যুতার বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

## প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে যশোরে বিএনপির শোভাযাত্রা:
যশোর অফিস: বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে যশোরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় টাউন হল ময়দান থেকে গতকাল সোমবার সকালে এক বিশাল শোভাযাত্রা বের করা হয়। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন।
এর আগে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তরিকুল ইসলাম বলেন, শেখ মুজিবের একদলীয় শাসনের নাগপাশ থেকে জাতিকে রক্ষা করতেই শহীদ জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এই সরকারও করছে। কিন্তু এ দেশের লক্ষ কোটি মানুষ বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করেছে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, আবুল হোসেন আজাদ, যশোর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, পৌরসভার মেয়র মারুফুল ইসলাম প্রমুখ।

## যশোরে ভেজাল দস্তা সারের রমরমা ব্যবসা সাধারণ কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত ॥ প্রশাসন নীরব:
আবিদুর রেজা খান: যশোরে ভেজাল সারের রমরমা ব্যবসা চলছে। তারা এ কারবার করে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে পড়েছে। ভেজাল সার জমিতে প্রয়োগ করে কৃষকরা মারাতœক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভেজাল সার ব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশের রয়েছে গভীর সখ্যতা। এ খাত থেকে পুলিশ প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিতে ব্যস্ত।
স্থানীয় সুত্র জানায় যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ঘুরুলিয়া গ্রামে রাজু আহমেদ নামে এক ব্যক্তি ভেজাল দস্তা সারের কারখানা গড়ে তুলেছেন। তার কারখানায় হোয়াইট সিমেন্ট, সোডিয়াম পাউডার, বালু, ছাই, ইটের গুঁড়াসহ ক্ষতিকর বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই ভেজাল দস্তা সার।
ফ্রেশ জিংক আমেরিকান জিংকসহ নামি-দামি বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেট নকল করে এই ভেজাল সার বাজারজাত করা হচ্ছে। এই সার ব্যবহার করলে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি মাটির উর্বরা শক্তি কমে যাচ্ছে। যার প্রভাব পরবর্তী ফসলের ওপর ও পড়ছে। খুলনা বিভাগের সকল জেলা ছাড়াও উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে এই দস্তা সার।
সূত্র আরও জানায় রাজু আহমেদের মূল লাইসেন্স এআর এগ্রো কেমিক্যালের নামে। অথচ তিনি এস ট্রেড মার্কেটিং কোম্পানিসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের নামে ভেজাল সার বাজারজাত করছেন। এছাড়া তিনি প্যাকেটের গায়ে ঢাকার বিভিন্ন ঠিকানা ব্যবহার করেন। যেসব ঠিকানার কোন স্তিত্ব নেই।
অপরদিকে, যশোর অভয়নগর উপজেলার শিল্পশহর নওয়াপাড়া থেকে তিনি অতি নিম্নমানের জিপসাম সার কিনে তা চায়নার বিভিন্ন ব্রান্ডের নামে বাজারজাত করছেন। এ থেকে তার লাখ লাখ আয় হলেও কৃষকরা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
সূত্র জানায়, কৃষি বিভাগ ও প্রশাসনের দুর্নীতিপরায়ন কর্মকর্তাদের আর্থিকভাবে ম্যানেজ করে রাজু আহমেদ তার কারখানায় ভেজাল দস্তা সার উৎপাদন করছেন। বর্তমানে তার কারখানায় দিনরাত উৎপাদন হচ্ছে ভেজাল সার। দীর্ঘ এক যুগ ধরে রাজু আহমেদ অবৈধ এ ব্যবসা চালিয়ে আসলেও প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ নীরব ভুমিকা পালন করে আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘুরুলিয়া গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, রাজু আহমেদ একসময় গ্রামে পাওয়ার টিলার চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এরপর তিনি জনৈক ব্যক্তির সার কারখানায় চাকরি নেন। আর এখান থেকেই হাতেখড়ি রাজু আহমেদের। গোপনে শিখে নেন কীভাবে তৈরি করতে হয় ভেজাল দস্তা সার। একসময় তিনি নিজেই ঘুরুলিয়া গ্রামে গড়ে তোলেন সার কারখানা। এখানে ভেজাল সার উৎপাদনের মাধ্যমে রাতারাতি বদলে যায় তার ভাগ্য। যখন যে দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে, তখনই খোলস পাল্টে ধুরন্ধর রাজু বনে গেছে সেই দলের নেতা, কর্মী বা সমর্থক। বর্তমানে ভেজাল সার ব্যবসার মাধ্যমে তিনি কোটিপতি। ঘুরুলিয়া গ্রামে নিজ বাড়ি ছাড়াও শহরের আরএন রোডের নতুন বাজার এলাকায় তার বাড়ি রয়েছে। গ্রামে রয়েছে বেশ কয়েক বিঘা জমি। ৫টি পিকাপ ভ্যানের মালিক তিনি। ব্যাংকে রয়েছে কোটি কোটি টাকা।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে তদন্ত করলে আরও সম্পদের সন্ধান মিলবে বলে অনেকে মনে করছেন।
এদিকে রাজু আহমেদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ভেজাল সার তৈরি করিনা। কিছু মানুষ ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
শুধু রাজু আহমেদই নয়, যশোর জেলায় অন্তত দুই শতাধিক ভেজাল সার কারখানায় রয়েছে। এসব সার ব্যবসা বন্ধে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপ পরিচালক নিত্যরঞ্জন বিশ্বাস জানান, আমরা অভিযোগ পেলে ভেজালকারবারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ভেজাল কারবারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে হস্তক্ষেপ কামনা করছে সাধারণ কৃষকরা।



মন্তব্য চালু নেই