যশোরের খবর (২০/৮/১৪)

## যশোরে মান্নান হত্যা মামলায় আটক হিরাকে ক্রসফায়ারের দাবিতে শ্লোগান এলাকাবাসির :
যশোর অফিস:যশোরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল মান্নান হত্যা মামলার আরেক মূল আসামি হিরাকে আটক করেছে পুলিশ। এই হিরাই হত্যা মিশনের অস্ত্রের জোগানদাতা। সোমবার রাতে তাকে ঢাকা থেকে আটক করে যশোরে আনা হয়। এরপর মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল বেজপাড়া পিয়ারী মোহন রোডে ও এবং বিহারী কলোনী এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। হিরা ওই এলাকার মোহর আলীর ছেলে। সে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদের আদালতে ১৬৪ দারায় জবানবন্দী দিয়েছে।
পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, হত্যা মিশনে থাকা সাত জনের মধ্যে ৩ জনকে আটক করা হলো। এর আগে বেজপাড়া মেইন রোড এলাকার কালুর ছেলে আব্দুল খালেক ও টিবি ক্লিনিক এলাকার মোহাম্মদ মুনসির ছেলে মাসুদকে আটক করা হয়েছে। তারা হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে।
যে স্থানে মান্নানকে হত্যা করা হয় সে স্থানে দাড়িয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছে, মূলত এলাকায় মাদক ব্যবসা, চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দমনে মান্নান বাঁধা হয়ে দাড়ানোর কারণে তাকে হত্যা করে সস্ত্রাসীরা। ঘটনার দিন ৯ আগস্ট বিকেলে মান্নানের অফিসে যায় বেজপাড়া গুড়গোল্লার মোড়ের আলী আহমেদের ছেলে সেলিম ও মুজিবর রিকসাআলার ছেলে পেচো। সেলিম মান্নানের বুকে গুলি করে। আর পেচো চাকু দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। একই এলাকার হালিমের ছেলে শাহাবুদ্দিন ও মোজাহার আলীর ছেলে রফিক বোমা নিয়ে দাড়িয়ে থাকে রানার অফিসের সামনে। হিরা, খালেক ও টিবি ক্লিনিক এলাকার মাসুদ অবস্থান নেয় পিয়ারী মোহন রোডের গুড়গোল্লার মোড়ে ঢোকার রাস্তার মুখে। সেলিম ও পেচো গুলি করে ও গলাকেগে হত্যার পর বিহারী কলোনী হয়ে বেজপাড়া মেইন রোড হয়ে নলডাঙ্গা রোডের দিকে চলে যায়।
পুলিশ সুপার বলেছেন, হত্যা কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র এখনো উদ্ধার যায়নি। হিরা আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দীতে এ কথা জানিয়েছে। তাকে চারদিন আগে আটক করা হয়েছে বলে প্রশ্ন করা হলে পুলিশ সুপার জানান, সোমবার রাতে ঢাকার মীরপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। বাকি ৪জন সেলিম, পেচো,শাহবুদ্দিন ও রফিককে আটকের চেষ্টা চলেছে।
এদিকে হিরাকে নিয়ে পুলিশ বেজপাড়া পিয়ারী মোহনরোড, বিহারী কলোনীসহ আশেপাশের এলাকায় যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ সুপার অনিসুর রহমানের সাথে সহাকারি পুলিশ সুপার সেয়দ মোস্তফা কামাল, কোতয়ালি থানার ওসি ইনামুল হক, ডিবি পুলিশের ওসি মনিরুজ্জামান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শোয়েব উদ্দিন আহমেদসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত ছিলো।
পুলিশের উপস্থিতি দেখে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে হাজির হয়। তারা হিরাকে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। তারা হিরাকে ‘ক্রসফায়ারে’ দেয়ার জন্য দাবি জানিয়ে শ্লোগান দেয়।

## যশোরে পিস্তলগুলিসহ একজন আটক :
যশোর অফিস:মঙ্গলবার সকালে যশোর শহরের চাঁচড়া চেকপোস্ট মোড় থেকে পুলিশ অস্ত্রগুলিসহ এক যুবককে আটক করেছে। ধৃত যুবকের নাম রনি ওরফে বিষু (২৫)। সে যশোরের শার্শা উপজেলার ৩ নং ঘিবা এলাকার আসমত আলীর ছেলে। যশোর সদর পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই বাবুল আকতার জানান, সকাল পৌণে ১১টার দিকে তারা চেকপোস্ট মোড়ে অবস্থান করছিলেন। পুলিশের কাছে খবর ছিল, বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা যশোরমুখি বাসে (নাটোর ব ১১- ০০০৮) অস্ত্র বহন করছে এক যুবক। সেই সংবাদের ভিত্তিতে তারা সেখানে অবস্থান নেয়।
পুলিশ বিষুকে আটক করে তার দেহে তল¬াশ চালিয়ে একটি ৯এমএম পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়। অস্ত্র-গুলি তার উরুতে বিশেষভাবে বাঁধা ছিল।
সে অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকার বাবু নামে একজনের কাছে নিয়ে যাচ্ছিল বলে জানিয়েছে। র্শাশা এলাকার রফিকুল নামে একজন তাকে দু’হাজার টাকা দিয়ে অস্ত্র-গুলি নওয়াপাড়ায় পাঠাচ্ছিল। এই অস্ত্রে মালিক সে না।

## যশোরে অপহৃত উদ্ধার অপহরণকারী আটক :
যশোর অফিস:যশোরে এক লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে আব্দুল মজিদ। সে বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়ি গ্রামের মৃত আহাসান আলী মোল্লার ছেলে। পুলিশ অপহৃত হারুন-অর রশিদকে উদ্ধার করেছে। সে যশোর সদর উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের আবুল সরদারের ছেলে।
কোতয়ালি থানার এসআই আজগর হোসেন জানিয়েছেন, সোমবার গভীর রাতে যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া রেল ক্রসিংয়ের পাশে কলাবাগান থেকে মজিদকে আটক করা হয়। অপহৃত মালয়েশিয়া প্রবাসী। গত ৬ আগস্ট তিনি দেশে ফেরেন। সেখানে থাকা সুলতান নামে অপর এক প্রবাসীর শ্বশুরবাড়ি আসুয়াড়ি গ্রামে। হারুন-অর রশিদ তার অনুরোধে সুলতানের শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বসুন্দিয়া যায়। বসুন্দিয়ায় আগেই দাড়িয়ে ছিল সুলতানের শ্যালক আব্দুল মজিদ। সে বাড়িতে নিয়ে না যেয়ে তাকে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাতে থাকে। এরপর রেল লাইনের পাশের একটি কলাবাগানে আটকে রাখে। তখন তাকে বলে ‘তুই মালয়েশিয়া থাকিস। তোর অনেক টাকা। আমাকে দেড় লাখ টাকা দিতে হবে’। এরপর মজিদ তার শ্যালক জব্বারের কাছে মোবাইল করে এবং মুক্তিপণের দাবিতে টাকা চায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে হারুণ-অর রশিদকে উদ্ধার করে।

## যশোরে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত এক ॥ আহত পাঁচ :
যশোর অফিস:মঙ্গলবার সকালে যশোর সদর উপজেলার যশোর খুলনা মহাসড়কে থ্রি হুইলার ও নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। এ সময় আরো আহত হয়েছে ৫ জন। নিহত আব্দুল গফুর বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক রূপদিয়া শাখার কর্মকর্তা এবং সদর উপজেলার শাখরিগাতি এলাকার শরিয়াত উল্লার ছেলে। আহতরা হলেন তরিকুল, রাশিদা, আলিমুন্ন্ছো ও অছিয়া।
প্রথ্যাক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে সদর উপজেলার যশোর খুলনা মহাসড়কে একটি থ্রি হুইলার ও নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ৬ জন আহত হয়, তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে গফুরের মৃত্যু হয়।
যশোর কোতয়ালী মডেল থানার ওসি এনামূল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

## পরীক্ষা ২৩ নভেম্বর, যশোরে প্রাথমিক সমাপনীতে পরীক্ষার্থী ৪৭ হাজার ৯৮৪ :
যশোর অফিস:সারাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ী পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২৩ নভেম্বর। যশোর জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ৪৭ হাজার ৯৮৪ জন।
এর মধ্যে ছাত্র ২৩ হাজার ৯৮ জন ও ছাত্রী ২৪ হাজার ৮৮৬ জন। ইবতেদায়ীতে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৬ হাজার ৫৫৪ জন। ছাত্র ৩ হাজার ১১৩ ও ছাত্রী ৩ হাজার ৪৪১।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে যশোর জেলায় ১৩৫ টি কেন্দ্রে ৪৭ হাজার ৯৮৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে অভয়নগরের পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৪ হাজার ৭৩ জন। ছাত্র ২ হাজার ১জন ও ছাত্রী ২ হাজার ৭২ জন। কেশবপুরে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৪ হাজার ২১০ জন। ছাত্র ২ হাজার ১৬২ ও ছাত্রী ২ হাজার ৪৮। যশোর সদরে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১২ হাজার ৯৩৮। ছাত্র ৬ হাজার ১৪৭ ও ছাত্রী ৬ হাজার ৭৯১। শার্শায় পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৫ হাজার ৯৮৯। ছাত্র ২ হাজার ৭৫৩ জন ও ছাত্রী ৩ হাজার ২৩৬। চৌগাছায় পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৪ হাজার ৫৫৯। ছাত্র ২ হাজার ২৫৫ ও ছাত্রী ২ হাজার ৩০৪। ঝিকরগাছায় পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৫ হাজার ৫৪৭। ছাত্র ২ হাজার ৬৩৯ ও ছাত্রী ২ হাজার ৯০৮। বাঘারপাড়ায় পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৩ হাজার ৪১৯। ছাত্র ১ হাজার ৬২৫ ও ছাত্রী ১ হাজার ৭৯৪। মণিরামপুরে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৭ হাজার ২৪৯। ছাত্র ৩ হাজার ৫১৬ ও ছাত্রী ৩ হাজার ৭৩৩। এদিকে, ইবতেদায়ী পরীক্ষায় যশোর সদরে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১ হাজার ১৪১। ছাত্র ৫৫৬ ও ছাত্রী ৫৮৫। শার্শায় পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৭৬৬। ছাত্র ৩২৪ ও ছাত্রী ৪৪২। অভয়নগরে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৬১২। ছাত্র ২৮৮ ও ছাত্রী ৩২৪। কেশবপুরে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৮৭৩। ছাত্র ৪২৬ ও ছাত্রী ৪৪৭। চৌগাছায় পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৪৬২। ছাত্র ২৬০ ও ছাত্রী ২০২। ঝিকরগাছায় পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৬৮৩। ছাত্র ৩৭৩ ও ছাত্রী ২৯৬। বাঘারপাড়ায় পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৮৪৬। ছাত্র ৩৭৩ ও ছাত্রী ৪৭৩। মণিরামপুরে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১ হাজার ১৭১। ছাত্র ৪৯৯ ও ছাত্রী ৬৭২।॥

## মণিরামপুরে পাচার ॥ মুক্তিপণ আদায় মামলার চার্জশিট :
যশোর অফিস:যশোর মণিরামপুরের খেদাপাড়া গ্রামের দুই যুবককে মালয়েশিয়া পাচার ও মুক্তিপণ আদায় মামলায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় একজনের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। অভিযুক্ত আসামিরা হলো, খেদাপাড়া গ্রামের বক্তার গাজীর ছেলে মফিজ গাজী, জোকা গ্রামের রহম বেপারির ছেলে জাহাঙ্গীর বেপারি ও শার্শার পানবুড়ি গ্রামের খালেক মোল্যার ছেলে আলম মোল্যা। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন এসআই আসাদুজ্জামান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের প্রথম দিকে জাহাঙ্গীর ও মজিদ জানায় তারা জনপ্রতি দুই লাখ টাকায় মালয়েশিয়া লোক পাঠাচ্ছে। এ সংবাদে খেদাপাড়া গ্রামের সুখ চাদ গাজীর ছেলে হাফিজুর ও প্রতিবেশির এক ছেলেকে মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য তাদের সাথে চুক্তি করে। ১০ জানুয়ারি দুই লাখ টাকা দিলে আসামিরা জাহাঙ্গীর ও প্রতিবেশির ছেলেকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা নিয়ে যায়। ২৯ জানুয়ারি বিদেশি একটি নম্বর থেকে জাহাঙ্গীরের পিতার কাছে ফোন দিয়ে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষটি জাহাঙ্গীরকে জানালে তাদের উদ্ধারের জন্য টাকা না দিলে হবে না বলে জানিয়ে দেয়। ছেলের মুক্তির জন্য জাহাঙ্গীরকে চার লাখ টাকা দেয়া হয়। জাহাঙ্গীর কিছুদিন ঘুরিয়ে ১৪ মার্চ তাদের উদ্ধার করা যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। উদ্ধআরের জন্য দেয়া চার লাখ টাকা ফেরত চাইলে দিতে অস্বীকার করে। ৬ এপ্রিল ছেলেকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে নিখোজ হাফিজুরের পিতা সুখ চাদ গাজী মনিরামপুর থানায় পাচার ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় চার্জশিটে জাহাঙ্গীরের পিতা রহম বেপারির অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে। চার্জশিটে জাহাঙ্গীর ও আলমকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

## আটক মিঠুর স্বীকারোক্তি-যশোরে যুবলীগ কর্মী আনোয়ার হত্যাকান্ডে জড়িত বিএনপি নেতা :
যশোর অফিস:যশোর শহরের মিশনপাড়া এলাকার যুবলীগ কর্মী আনোয়ারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছিল বিএনপি নেতা ইসহাক হারুন। ২০১২ সালের ৮ মে রাতে ইসহাক হারুন লোকের মাধ্যমে ডেকে ঢাকা রোড বিসিএমসি কলেজের পাশে তার ব্যক্তিগত অফিসে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ একটি প্রাইভেটকারে করে সদর উপজেলার সাত মাইল এলাকার রেললাইনের ধারে ফেলে রাখে। প্রায় আড়াই বছর পর মিঠু নামে এক যুবক ডিবি পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য দিয়েছে। মিঠু খুলনার ফুলবাড়ি গেট এলাকার মৃত আহমেদ আলীর ছেলে।
সংশি¬ষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার হত্যা মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই তোফায়েল আহমেদ। গত রোববার সন্ধ্যায় ফুলবাড়ি গেট থেকে তিনি মিঠুকে আটক করেন। এরপর সোমবার বিকেলে মিঠু সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু ইব্রাহিমের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়।
জানা গেছে, যুবলীগ কর্মী আনোয়া হোসেনের সাথে ইসহাক হারুনের পুরাতন কসবা বিমান অফিস এলাকার বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে একে অপরের সাথে বিভিন্ন সময়ে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে ইসাহক হারুন তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী খূলনা থেকে বাস শ্রমিক মিঠুকে ১ লাখ টাকায় ভাড়া করে । পূর্ব সিদ্দান্ত অনুযায়ী ৮ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে লোক মারফত আনোয়ারকে ডেকে পাঠান ইসহাক হারুন তার বারান্দীপাড়া ঢাকা রোডস্থ বিসিএমসি কলেজ এলাকার নিজস্ব অফিসে। লম্বা গড়নের মাথায় টাক পেছনে চুল লম্বা ছিল লোকটির। তার নাম বলতে পারেনি মিঠু। সেখানে কথাকাটাকাটি হয় উভয়ের মধ্যে। এক পর্যায়ে ইসাহক হারুন একটি গামছা দিয়ে আনোয়ারের গলায় পেচিয়ে ধরে। এরপর মেঝেতে ফেলে দেয়। আনোয়ার মারা গেলে তার মোটরসাইকেলটি বারান্দীপাড়া এলাকার একটি গ্যারেজের সামনে রাখে মিঠু। এরপর একটি রেন্ট-এ-কার ভাড়া করা হয়। মিঠু ও সেই যুবক প্রাইভেটকারে বসে। আর মাঝখানে বসানো হয় নিহত আনোয়ারকে। পরে রাতে চুড়ামনকাঠি সাতমাইল এলাকার মাঝামাঝি স্থানে রেললাইনের পাশে মরদেহ ফেলে রাখে। তবে রেন্ট-এ-কার চালককে চেনে না বলে মিঠু জানিয়েছে। পরদিন ৯ এপ্রিল সকালে আনোয়ারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যা মিশনে মোট ৪ জন ছিল। সে ইসাহক হারুন ছাড়া বাকিদের পরিচয় জানে না বলে আদালতে স্বীকার করেছে।

## ওয়ালটন জাতীয় যুব মহিলা অনূর্ধ্ব-১৯ হ্যান্ডবলের যশোর জেলা দল ঘোষণা :
যশোর অফিস:ঢাকায় অনুষ্ঠিত ওয়ালটন জাতীয় যুব মহিলা অনূর্ধ্ব-১৯ হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়শিপের জন্য যশোর জেলা দল ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিযোগিতা শুরু হবে ২০ আগস্ট বুধবার। যশোর জেলা দল ঢাকার উদ্দেশ্যে সোমবার যশোর ছেড়েছে। ঘোষিত খেলোয়াড় হচ্ছেন, আমেনা খাতুন, রাজিয়া সুলতানা, ময়না খাতুন, হাফিজা আক্তার, বিথীয়ারা খাতুন, মুক্তা খাতুন, ফাতেমা খাতুন লিজা, ফাতেমা আক্তার, নিপা খাতুন খাদিজা, শান্তা খাতুন ও টুম্পা রাণী অধিকারী। কোচ কাম ম্যানেজার হিসেবে থাকবেন রাশেদ আব্বাস রাজ।

## যশোরে দাবার বাছাই ২০ আগস্ট শুরু :
যশোর অফিস:জাতীয় বি-দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য যশোরে বাছাই অনুষ্ঠিত হবে ২০ আগস্ট।এ দিন সকাল ৯টায় যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামের আমেনা খাতুন ক্রিকেট প্যাভিলিয়নে অনুষ্ঠিত হবে এ বাছায়। ১৯ আগস্ট (অফিস চলাকালীন সময়ে) পুনঃএন্ট্রি করা হয়েছে। এন্ট্রি ফি ছিল ১শ’ টাকা। এখান থেকে বাছাইকৃত দাবাড়–কে ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় বি দাবা প্রতিযোগিতার জন্য পাঠানো হবে।

## যশোরে গড়ে উঠেছে বিদেশি মুরগির হ্যাচারি অনুমতি ছাড়া :
যশোর অফিস:যশোর সদরের ঘুনি পদ্মবিলা এলাকায় কোন অনুমতি ছাড়াই অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে সিপি বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি বিদেশি কোম্পানীর মালিকানাধীন মুরগির হ্যাচারি। হ্যাচারিটি সরিয়ে নিতে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় ৭ দিনের সময় বেধেঁ দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে সরিয়ে না নিলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আননানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে চিঠিতে উলে¬খ করা হয়েছে। কেননা ওই এলাকায় দেশের সবচেয়ে বড় হ্যাচারি আফিল এগ্রো লিমিটেড রয়েছে। পোল্ট্রি নীতিমালায় রয়েছে একটি মুরগির ফার্ম বা হ্যাচারির দূরত্ব ৫ কিলোমিটার হতে হবে। কাছাকাছি দূরত্বে হলে উভয় ফার্ম সংক্রমিত হতে পারে। এই ঘটনায় ক্ষতি হবার আশংকা করে আফিল এগ্রো থেকে জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়কে অবহিত করা হয়েছে।
আফিল এগ্রো লিমিটেডের পরিচালক মাহাবুব আলম লাভলু জানান, যশোর ঘুনি পদ্মবিলা এলাকায় ২০১১ সালে গড়ে তোলা হয় আফিল এগ্রো লিমিটেড নামে বৃহৎ মুরগির হ্যাচারি। এটা দেশের সবচেয়ে বড় হ্যাচারি হিসেবে পরিচিত। এখানে সপ্তাহে আড়াই লাখ মুরগির বাচ্চা উৎপাদন হয়। আগামীতে এখানে সপ্তাহে সাড়ে ৫ লাখ বাচ্চা উৎপাদন করা হবে। হ্যাচারিতে বর্তমানে একশ’ জন কর্মকর্তা কর্মচারি কাজ করছেন। অথচ কোন নিয়ম না মেনে সিপি বাংলাদেশ তাদের হ্যাচারির পাশে ২ কিলোমিটারের মধ্যে আরেকটি হ্যাচারি গড়ে তুলেছে। এতে আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি। কারণ ৫ কিলোমিটারের মধ্যে অন্য হ্যাচার্রি গড়ে উঠলে তাদের মুরগিতে সংক্রামক ছড়িয়ে পড়লে আমাদের হ্যাচারিও আক্রান্ত হবে। জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৪ জুন আফিল এগ্রো লিমিটেড জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করে। তার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন টিএলও ডাক্তার আতিকুর রহমান সরেজমিন তদন্ত করে এর সত্যতা পান। পরে তিনি বিষয়টি প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়ে জানান। এর পরে মহাপরিচালকের নিদের্শে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিপি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে তাদের হ্যাচারি সরিয়ে নিতে বলে। কিন্তু তারা সরকারের সেই নিদের্শ না মেনে এখন পুরোদমে তাদের হ্যাচারিতে বাচ্চা উৎপাদন শুরু করেছে। সিপি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাদের প্রতি কটাক্ষ করে বলছেন তাদের চেয়ে সিপি বাংলাদেশ কোম্পানিতে যারা কাজ করেন তারা বেশি আইন জানেন।
সিপি বাংলাদেশের এডিএম জহিরুল ইসলাম জানান, আমরা শিগগিরই অনুমতি নেবার চেষ্টা করছি। এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি।
এব্যাপারে যশোর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা, আবদুর রাজ্জাক জানান, পোল্ট্রি নীতির ৬ এর ৬,১,১,১ অনুচ্ছেদে বলা রয়েছে ব্রিডিং বা হ্যাচারি খামারের পারস্পারিক দূরত্ব হতে হবে ৫ কিলোমিটার। কাছাকাছি দূরত্বে হলে একটি হ্যাচারি সংক্রামক লাগলে পাশের হ্যাচারিটিও দ্রুত আক্রান্ত হয়। কিন্তু কোন নিয়ম না মেনে এমনকি আমাদের অনুমতি না নিয়ে সিপি বাংলাদেশ নামে একটি মুরগির হ্যাচারি গড়ে তোলা হয়েছে। গত ১২ আগষ্ট আমি প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে সরিয়ে নিতে বলেছি। এরপর ১৮ আগষ্ট আমরা চিঠি দিয়ে ৭ দিনের মধ্যে ফার্মটি অন্যত্র স্থানান্তর করতে নিদের্শ দিয়েছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরিয়ে না নিলে আমরা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে ব্যবন্থা নেব। কেননা অনুমোদিত একটি হ্যাচারির জন্য দেশের বৃহৎ ফার্মকে হুমকির মুখে ফেলতে পারিনা।

## যশোরে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার :
যশোর অফিস: যশোর সদরের মুন্সী বাগডাঙ্গা বাদামতলা প্রাইমারী স্কুলের সংলগ্ন আমবাগানের গাছ থেকে মাহাদুর (৩২) এর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে যশোর সদরের শাহাবাজপুর উত্তর পাড়ার মৃত মধু মন্ডলের পুত্র। এ ঘটনায় তার ভাই হযরত আলী বাদি হয়ে যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা করেছে।
হযরত আলি জানায় মাহাদুর ১৮ জুলাই সকালে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বাড়ি হতে বের হয়। ডাক্তর দেখিয়ে সে শানতলা গ্রামে বোন আমেনার বাড়িতে বেড়াতে যায়। বিকেলে বোনের বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে রওনা হয়। এর পর থেকে সে নিখোজ। পরের দিন সকালে লোক মারফত জানতে পারেন মাহাদুরে লাশ গাছে ঝুলছে। তার ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরন করে। তার শরীরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ জানায় তাকে মারপিট করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে।

## যশোরে ফেনসিডিল গাঁজাসহ চার ব্যবসায়ী আটক :
যশোর অফিস: যশোর র‌্যাব-৬,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরও যশের চাঁচড়া ফাঁড়ি পুলিশ পৃথক অভিযান চালায়। এ সময় চার মাদক ব্যবসায়কে আটক করেছে। তাদের কাছ থেকে ফেনসিডিল, গাঁজা উদ্ধার করেছে। আটককৃতরা হচ্ছে,যশোর উপশহর ৭ নং সেক্টরের জি হোল্ডিং নং জি১০ এর সৃক রুহুল আমিনের পুত্র রবিউল ইসলাম ওরফে লিটন,চাঁচড়া রায়পাড়া মাদ্রাসা রোডস্থ বাবুল মিয়ার চায়ের দোকানের পাশে শুকুর আলীর পুত্র আরমান ও সদর উপজেলা কৃষ্ণবাটি খালপাড়ার মিজানুর রহমানের পুত্র শামীমুর রহমান বাবু ও চাঁচড়া মধ্যপাড়ার হারুন অর রশীদের পুত্র আব্দুল রশিদ ওরফে রাজা।
মঙ্গলবার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন দপ্তর সদর সার্কেলের সদস্যরা উপশহরের রবিউল আমিন লিটনের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় তার কক্ষ হতে ৫৩ বোতল ফেনসিডিলসহ লিটনকে আটক করে। অপর দিকে, র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা সোমবার সন্ধ্যায় চাঁচড়া রায়পাড়া মাদ্রাসা রোড থেকে আরমানকে ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে।এছাড়া,চাঁচড়া ফাঁড়ি পুলিশ সোমবার রাতে সময় চাঁচড়া চেকপোষ্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে দেড়শ’ গ্রাম গাঁজাসহ শামীমুর রহমান বাবু ও আব্দুল রশিদ ওরফে রাজাকে আটক করে। এ ব্যাপারে কোতয়ালি থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই