যশোরের খবর (২০/৭/১৪)

## যশোরে এক রাতে চার খুন ॥ একজন খুন হয়েছে পুলিশের গুলিতে
আবিদুর রেজা খান: যশোরে এক রাতেই চার খুন সংঘটিত হয়েছে। তিনজনকে খুন করেছে সন্ত্রাসীরা। আর একজন খুন হয়েছে পুলিশের গুরিতে। যদিও পুলিশ বলছে কথিত বন্দুক যুদ্ধে সে মারা গেছে। শনিবার ভোরে শার্শায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আনিসুর রহমান, ঝিকরগাছায় দুর্বৃত্তদের হাতে ইসমাইল, সদর উপজেলায় সন্ত্রাসীরা গলায় ফাঁস দিয়ে মাহাদুল ও ধীরাজ মোল্লাকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ কবির জানান, শনিবার ভোরে সাতক্ষীরা, শার্শা থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুর রহমানকে সাথে নিয়ে উপজেলার বসতপুরে যৌথ অভিযান চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আনিসুর। এ সময় পুলিশ কনস্টেবল মিঠু ও নূরুল ইসলাম আহত হন বলে দাবি করেছেন তিনি। ওসি জানান, নিহত আনিসুরের বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বালিয়া গ্রামে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। আনিসুরের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা ও শার্শা থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। শুক্রবার রাতে ঢাকা মহানগর থেকে পুলিশ আনিসুরকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শার্শার বসতপুরে তার সহযোগী ও অস্ত্র সম্পর্কে তথ্য দেন।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, ভোরে দুর্বৃত্তরা ঝিকরগাছা উপজেলার পচামাগুরা গ্রামে চালক ইসমাইলকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ সময় তার থ্রি-হুইলারটি নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। নিহত ইসমাইল ঝিকরগাছা উপজেলার অমৃতবাজার গ্রামের আইনুদ্দিনের ছেলে।
কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুল ইসলাম জানান, ভোরে সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি মুন্সীবাগডাঙ্গা গ্রামের ওসমানের আমবাগান থেকে মাহাদুল নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গলায় ফাঁস দিয়ে তাকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। মাহাদুল সদর উপজেলার সাহাবাজপুর গ্রামের মধু মণ্ডলের ছেলে।
উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিরাজ মোসাদ্দেক জানান, ভোরে নতুন উপশহর পার্কের পাশ থেকে ধীরাজ মোল্লা নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের ভাই।
ধীরাজের ছোট ভাই রবিউল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে বন্ধু সাজ্জাদ তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। ভোরে সাজ্জাদ উপশহর পার্কের পাশ থেকে একটি রিকশাভ্যানে উঠিয়ে তার ভাইয়ের মৃতদেহটি মারকাজ মসজিদের কাছে নিয়ে আসে। এ সময় এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা সাজ্জাদকে আটকানোর চেষ্টা করলেও সে পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, তার ভাই ধীরাজের মাথা ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

## যশোরে এক স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
যশোর অফিস: যশোরে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার কাশিমপুর উত্তরপাড়ায়। মৃত স্কুলছাত্রীর নাম সুমিতা (১৫)। সে কাশিমপুর উত্তরপাড়ার ট্রাকচালক বজলুর রহমানের মেয়ে ও হাশিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। শুক্রবার রাতে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
সুমিতার চাচা ফজলুর রহমান জানান, ১৫ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে সুমিতা প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল স্কুলে। পথিমধ্যে প্রতিবেশি জয়নাল আবেদিনের ছেলে মিলন তাকে জাপটে ধরে পাটক্ষেতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ওই দিনের পর থেকে মিলনের মা সরুজান বিবি ও বোন আঁখি তাকে নিয়ে নানা কটূকথা ও কুৎসা রটাতে থাকে। ফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে সুমিতা। শুক্রবার বিকেলে সুমিতা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।এ সময় মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাত সাড়ে ১২টার দিকে মারা যায় সে। আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে সুমিতার চাচা ফজলুর রহমান কোতয়ালি থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

## যশোরে মটর সাইকেলসহ এক চোর আটক
যশোর অফিস: যশোর কোতয়ালি থানা পুলিশ শার্শা বাগআঁচড়া এলাকা অভিযান চালায়। এ সময় মটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সদস্য মিজানকে আটক করে। এ সময় একটি লাল রংয়ের পালসার যার নাম্বার (সাতক্ষীরা লা-১১-২০২১) মটর সাইকেল উদ্ধার করে। সে ওই এলাকার নুর ইসলামের পুত্র।
শুক্রবার গভীর রাতে যশোর কোতয়ালি থানার এসআই হেমায়েত শার্শা উপজেলা এলাকার বাগ আঁচড়া গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় মিজানকে আটক করে। এ সময় ইয়ামাহা ফ্রিজার মটর সাইকেল উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়,আটক মিজান চোরাই মটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য।

## যশোরে ভারতীয় চকলেট বাজি আতশবাজিসহ দুইজন আটক
যশোর অফিস: যশোর সিআইডি পুলিশ উপশহর খাজুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকা অভিযান চালায়। এ সময় ভারতীয় চকলেট বাজি ও আতশবাজিসহ দুইজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হচ্ছে,মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলা চর মন্ডুরিয়া গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ ব্যাপারীর পুত্র জুবায়ের হোসেন ও একই এলাকার বারেক হাওলাদারের পুত্র মিঠুন।
শুক্রবার রাতে সিআইডি পুলিশের এসআই তহিদুল ইসলাম উপশহর খাজুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকার হানিফ কাউন্টারের সামনে হানা দেয়। এ সময় জুবায়ের হোসেন ও মিঠুকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে তিন হাজার একশ ১৫ পিস চকলেট বাজি ও দুই প্যাকেট আতশবাজি উদ্ধার করে। পুলিশ জানায় তারা ওই সব ভারতীয় চকলেট বোমা ও দুই প্যাকেট আতশবাজি ঢাকায় যাচ্ছিল। এ সময় তাদেরকে আটক করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই