বিজিএমইএর কর্মশালায় তথ্য
যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছে পোশাক শ্রমিকরা
যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছে তৈরী পোশাক শ্রমিকরা। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২ হাজার ৩১৭ জন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত করে চিকিৎসার আওতায় এনেছে বিজিএমইএ। এদের মধ্যে ১ হাজার ১৯০ জন যক্ষ্মা মুক্ত হয়েছে। বাকিরা চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।
শনিবার ঢাকার রামপুরা, মালিবাগ ও সংলগ্ন এলাকার পোশাক কারখানাগুলোর জিএম ও পিএমদেরকে নিয়ে স্থানীয় এক রেস্টুরেন্টে যক্ষ্মাবিষয়ক কর্মশালায় পোশাক বিজিএমইএ এ তথ্য জানায়।
২০০৯ সাল থেকে সরকার এবং ২০১০ সাল থেকে ব্র্যাকের সঙ্গে যৌথভাবে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে বিজিএমইএ।
যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে বিজিএমইএ ১১টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগ নির্ণয়ের জন্য ল্যাবরেটরি চালু করেছে।
এ কার্যক্রমের আওতায় পোশাক কারখানাগুলোতে যক্ষ্মা ও প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিজিএমইএ কারখানাগুলোকে নিয়ে নিয়মিতভাবে এলাকাভিত্তিক কর্মশালার আয়োজন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
বিজিএমইএর যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটি’র সভাপতি মাসুদ কাদের মনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় রামপুরা, মালিবাগ ও সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন পোশাক কারখানার ৭৫ জন জিএম ও পিএম অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় মাসুদ কাদের মোনা বলেন, ‘বিজিএমইএর যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সর্বমোট ৮৮২টি ওয়ার্কশপ আয়োজন করেছে। পোশাক শিল্পখাতে যক্ষা রোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিজিএমইএ একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সবার সহযোগিতায় পোশাক শিল্পখাতকে যক্ষ্মামুক্ত করা সম্ভব হবে।’
কর্মশালায় বিজিএমইএর বিভিন্ন কমিটির চেয়ারম্যান ও সাধারণ সদস্যরা ছাড়াও যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই