মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা!

একে তো তিন দিনের বৃষ্টিতে অচল রাজধানীর জনজীবন। তারপরও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে রাস্তায় ঢল নেমেছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের। ফলে সোমবার সকাল থেকেই রাজধানীর বেশির ভাগ সড়ক ছিল গণপরিবহন শূন্য। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে কর্মস্থলমুখি মানুষের।

মতিঝিলের একটি বীমা অফিসে চাকরি করেন সাজ্জাদ হোসেন। অফিসে যাওয়ার জন্য সকাল ৯টায় তিনি রওনা হয়েছিলেন শ্যামলীর বাসা থেকে। কিন্তু পথে এসে দেখেন রাস্তায় কোনো পরিবহন নেই। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে যদিও একটি লোকাল বাস পেলেন, কিন্তু তাতে চড়ে খুব বেশি দূর যাওয়া সম্ভব হলো না। কারণ গণভবনের সামনে চলছে সাজসজ্জার কাজ। পরে নিরূপায় হয়ে পায়ে হেঁটেই রওনা হতে হয় সাজ্জাদের। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘দলগুলো এক বার এক ধরনের অজুহাত নিয়ে রাজধানী অচল করে দেয়। তারা তো বোঝে না এতে মানুষের কী পরিমাণ ভোগান্তি হয়!’

সাজ্জাদের পাশাপাশি হাঁটছিলেন মধ্যবয়সী এক ভদ্রলোক। তিনিও সাজ্জাদের সুরে সুর মিলিয়ে বলেন, ‘কী আর বলবো ভাই! আমরা তো জনগণ। আমাদের কথা ভাবার কী আর সময় আছে? তাদের আনন্দ-ফূর্তি হলেই হবে, আমাদের নিয়ে ভাবা লাগবে না!’

মূলত, সোমবার দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ, সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলো। বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিতে সকাল থেকেই রাজধানী ও আশপাশের এলাকা থেকে বাস, ট্রাক এমনকি লেগুনা ও টেম্পু রির্জাভ করে আসতে থাকেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এতে রাজধানীতে সৃষ্টি হয় তীব্র পরিবহন সংকট।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার স্বামীবাগে কে এম দাস লেনের ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ নামে দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক। কারাবন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দলের যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই