মৌলভীবাজারের সাত ‘জঙ্গি’র লাশ হাসপাতালে, চারটিই শিশু

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ফতেপুরে ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে সাতটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহগুলো হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, সাতটি মরদেহের মধ্যে চারটি শিশুর যাদের বয়স এক থেকে ১২ বছর, দুজন নারীর; একজনের বয়স ৩৫, অন্যজনের ৫৫, আর যুবকের বয়স ৩৫।

সূত্র জানায়, দুটি বস্তায় ভরে ক্ষতবিক্ষত মরদেহগুলো হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বৃহস্পতিবার  বিকেলে জঙ্গি আস্তানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘অপারেশন হিটব্যাক’ শেষ হয়। সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়ন কমপ্লেক্সে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অভিযান শেষ হয়েছে। আমরা ভেতরে বেশ কিছু লাশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখেছি। সেগুলো একত্রিত করলে পুরো সংখ্যাটি পাওয়া যাবে। তবে, তা সাত-আটজনের কম হবে না। এরা আত্মহনন করে থাকতে পারে।’

মৌলভীবাজার শহরের বড়হাট ও সদর উপজেলার ফতেপুর এলাকায় গত বুধবার থেকে ঘেরাও করে রাখেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এই বাড়ি দুটির মালিক লন্ডনপ্রবাসী সাইফুর রহমান।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের দুটি জঙ্গি আস্তানার মধ্যে ফতেপুরে ‘অপারেশন হিটব্যাক’ শুরু করে সোয়াট। রাতে অভিযান বন্ধ করে দিয়ে আজ ভোরে শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তা শুরু হয়নি। সকাল সাড়ে ৭টায় সোয়াটের একটি দল ফতেহপুরের জঙ্গি আস্তানায় পৌঁছায়। সকাল ৮টার দিকে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট ফতেহপুরের জঙ্গি আস্তানার বাড়িতে পৌঁছায়। পরে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অভিযান শুরু হয়।

এদিকে, শহরের বড়হাট এলাকায় সন্দেহজনক জঙ্গি আস্তানাটি ঘেরাও করে রেখেছে পুলিশ। সকালে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে। এ এলাকা দিয়ে কাউকে যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে না।



মন্তব্য চালু নেই