মোবারকগঞ্জ চিনিকলে শ্রমিক নিয়োগে দুর্নীতি এমডি অবরুদ্ধ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ চিনি করে ৭৮ জন কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন এই নিয়োগ নিয়েছেন। এ ঘটানার প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে মোচিকের শ্রমিক-কর্মচারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে মোচিক এমডির বাসা অবরোধ করে রেখেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার মধ্যে নিয়োগ বাতিল করা না হলে মিলের সব কাজ বন্ধ করার আল্টিমেটাম দিয়েছেন কর্মচারীরা। অভিযোগ পাওয়া গেছে মিলে ৫৬ জন চুক্তিভিত্তিক (মৌসুমী) কেনগার্ড, ১৫ জন (স্থায়ী) সেন্ট্রার কাম স্কেল ম্যান, ১ জন ওয়ার্কম্যান ও ১ জন মালীসহ মোট ৭৮ জন কর্মচারী নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। সে মোতাবেক গত সোমবার মৌসুমী পদে এবং মঙ্গলবার স্থায়ী পদের কর্মচারীদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

সাধারণ শ্রমিকরা জানান, তাদের কেউ ৭ বছর, কেউ ১০ বছর কেউ ১২ বছর যাবৎ মিলে চুক্তি ভিত্তিক হিসেবে কাজ করছেন। তারাও এই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়। নিয়োগ পরিদর্শনে ঢাকা থেকে চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা মোচিকে আসেন। কিন্তু মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন প্রভাবিত হয়ে হয়ে দীর্ঘদিন ধরে যেসব শ্রমিকরা চুক্তিভিত্তিক কাজ করে আসছেন তাদের বাদ দিয়ে নতুন শ্রমিক-কর্মচারী নিয়োগের উদ্যোগ নেন। এমডির ষড়যন্ত্রে নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা পরীক্ষার রিজাল্ট না দিয়ে গোপনে ঢাকায় পালিয়ে যান। অভিযোগ উঠেছে মোচিক শ্রমিক ইউনিয়নের এক নেতার মাধমে ১০ লাখ টাকার ঘুণ নিয়েছেন এমডি দেলোয়ার হোসন। এ ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়লে শ্রমিক কর্মচারীরা মঙ্গলবার থেকে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন কে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

বিষয়টি নিয়ে মোবারকগঞ্জ সুগার মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম নবী জানান, যে সব শ্রমিক দীর্ঘ বছর যাবৎ চুক্তি ভিত্তিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের নিয়োগ না দিয়ে এমডি ঘুষের বিনিময়ে নতুন করে শ্রমিক নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন। তিনি ষড়যন্ত্র করে ঢাকা থেকে আসা নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের গোপনে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ফলে তারা নিয়োগ পরীক্ষার ফল ঘোষণা না করেই চলে যান। এদিকে আন্দোলনের খবর পেয়ে ঝিনাইদহ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ঘটনাস্থলে যান এবং বিষয়টি নিয়ে মিলের এমডি সাথে আলোচনা করে বিষয়টির সমাধানের নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, আসলে কল কারখানার বিষয় তো, মাঝে মধ্যে এমন হয়। তিনি বলেন নিয়োগ বিধিমালা মেনে, নিয়োগ হবে। আবার এখানে অনেক সুপারিশও আছে। এসব কারনে এমনটি হয়েছে। এমপি মহোদয় এসেছিলেন, আশা করি বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে।



মন্তব্য চালু নেই