মোবাইল সিম নিবন্ধনে ব্যাপক জালিয়াতি (ভিডিওসহ)
সিম নিবন্ধনে ব্যাপক জালিয়াতির তথ্য পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। গত এক সপ্তাহে ৫৭ লাখ মোবাইল নম্বর যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে ৭০ শতাংশ গ্রাহকের তথ্যই ভুয়া। এমনকি, এক জাতীয় পরিচয়পত্রেই সাত হাজারের বেশি সিম বিক্রি করা হয়েছে। মোবাইল গ্রাহকরা এনআইডি জমা দিয়ে যে সিম ব্যবহার করছেন, তা যাচাই-বাছাই করে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে নিবার্চন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রকল্প।
সম্প্রতি মোবাইলে হুমকি ধমকি এবং মন্ত্রী, এমপি, সচিবদের সিম নম্বরের ক্লোনিং ঘটনার পর সব সিম পুন নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এনআইডি দিয়ে কেনা সিমের তথ্য যাচাই বাছাই চলছে এখন। সব মোবাইল অপারেটদের কাছ থেকে এনআইডির মাধ্যমে ইস্যুকরা সিমের কাগজ পত্র পরীক্ষার জন্য পাঠাচ্ছে জাতীয় পরিচয় পত্র প্রকল্পে। দেখা গেছে গত সাত দিনে ছয় অপারেটরের ৫৭ লাখ গ্রাহকের সিমের তথ্য যাচাই করা হয়েছে। এর ৭০ শতাংশেই গ্রাহকের তথ্য ভুয়া বা ঠিক নয়।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বা ১৭ সেম্টেম্বর পর্যন্ত অপারেটররা ২৭ লাখের বেশি সিমের তথ্য পাঠিয়েছে এনআইডি প্রকল্পে। যার মধ্যে গ্রামীণ পাঠিয়েছিল দুই লাখ ৭৫ হাজার। বাংলা লিংক আড়াই লাখ। রবি এক লাখ ১১ হাজার।
অন্য দিকে দেশের অন্যতম ছোট অপারেটর টেলিটক পাঠিয়েছিল ১৫ লাখ ৬০ হাজারের সিমের তথ্য। এরমধ্যে এই একটি এনআইডি নম্বর দিয়ে ছয় অপারেটরের সাত হাজার সিম ইস্যু করা হয়েছে। আরো ৫০টি ভুয়া এনআইডি নম্বর দিয়ে ব্যবহার হচ্ছে কম পক্ষে এক লাখ সিম। সরকারি কর্মকর্তারা জানান, ৫০০ এনআইডি নম্বর দিয়ে অগনিত সিম ইস্যু করা হয়েছে। এমন কি মহিলার নামের এনআইডি দিয়ে সিম বিক্রি হয়েছে পুরুষের নামে।
সরকারি কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে আপাতত কিছু বলতে নারাজ। তবে তারা জানিয়েছেন একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সিমের কাগজ পত্র ঠিক নেই। সিম নিবন্ধনে বড় ধরনের গলদের কথা স্বীকার করেছেন মোবাইল অপারেটররা। জানান, সিম নিবন্ধনে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী তারা। তবে এতে করে সম্ভাবনাময় এ খাতের যেন ক্ষতি না হয়।
নীতি নির্ধারকরা বলছেন, অপরাধের অন্যতম কারন মোবাইলের সিম। তাই সব সিমের তথ্য যাচাই করে এ খাতকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টেলিকম বা তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার বন্ধ করে এর সুফল যাতে সবাই পান তা নিশ্চিত করতে হবে তদারকি সংস্থাগুলোকে। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
মন্তব্য চালু নেই