মোবাইলে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন কারাবন্দিরা

মোবাইল ফোনে কথা বলার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন কারাবন্দিরা। হাজতিরা মাসে দুইবার এবং কয়েদিরা মাসে একবার এ সুযোগ পাবেন। এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। কারা সদর দফতরের একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেসার আলম  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিভিন্ন বিচারাধীন মামলায় গ্রেফতার আসামিকে কারা আইনে ‘হাজতি’ এবং সাজাপ্রাপ্তদের ‘কয়েদি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কারাগারে একাকী জীবনে অবসাদে ভুগে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারাগারে বন্দিদের আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে।

কারা অধিদফতর সূত্র জানায়, বন্দিদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি থেকে রক্ষা করতে উন্নত বিশ্বের আদলে দেশের কারাগারগুলোতে মোবাইল বুথ বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কারাগারে ঢোকানোর পর বন্দির দুজন নিকটাত্মীয়ের ফোন নম্বর সংগ্রহ করবে কারাকর্তৃপক্ষ। সর্বোচ্চ পনেরো ১৫ মিনিট কথা বলতে পারবেন তারা। তবে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও জঙ্গিরা কথা বলার সুযোগ পাবেন না। বিশেষ প্রয়োজনে গোয়েন্দাদের উপস্থিতিতে তাদের কথা বলার সুযোগ দেয়া হবে।

মোবাইলে কথা বলার এ সুযোগের অপব্যবহার রোধে থাকবে প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা। প্রাথমিকভাবে একুশটি কেন্দ্রীয় কারাগারে এ সুবিধা দেয়া হবে। চলতি বছরেই এ সুবিধা চালু করতে চায় প্রশাসন।

দীর্ঘ দিন কারাগারে ফ্রিকোয়েন্সি জ্যামার বা তরঙ্গ প্রতিরোধকযন্ত্র দিয়েও আসামিদের মোবাইল ফোন ব্যবহার ঠেকাতে ব্যর্থ হয় কারাপ্রাশাসন। টাকা থাকলে কারাগারে সব মেলে- এমন কথা বহুদিন ধরে প্রচলিত। কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা যতোই কঠোর হোক নানা কায়দায় আসামিরা মোবাইল ব্যবহার করে আসছে। এটি ঠেকাতে ২০১৪ সালের শেষের দিকে কারা এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হলেও এখনো তা আলোর মুখ দেখেনি।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো.মিজানুর রহমান বলেন, “এ সুবিধা চালু হলে ভালো হবে।”

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “টেকনাফের একজন আসামি যদি কাশিমপুর কারাগারে থাকেন এবং তার স্বজনরা এতদূর পথ পেরিয়ে কারাগারে না এসে মাসে একবার যদি মোবাইল ফোনে কথার সুযোগ পেলে তাদের আর সাক্ষাতের প্রয়োজন না-ও হতে পারে। আমাদেরও কাজে সুবিধা হবে।”



মন্তব্য চালু নেই