‘মোদির তিন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি খালেদা’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে তিনটি প্রশ্ন করেছিলেন এবং তার উত্তর খালেদা জিয়া দিতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
রোববার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠকে আলোচ্য বিষয়টির অবতারণা করেন তিনি।
ওই বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে ভারতের পত্রিকার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে শেখ সেলিম বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন, তখন খালেদা জিয়া তার সঙ্গে দেখা করে নালিশ করেছিলেন- এদেশে গণতন্ত্র নেই। মোদি তার কথার উত্তর দিয়েছিলেন- আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। গণতন্ত্রকে লালন করি। এখানে মৌলবাদের স্থান নেই।’
এই উত্তরকে খালেদা জিয়ার প্রতি মোদির ‘বুদ্ধিমানের ইশারা’- বলে মন্তব্য করেন শেখ সেলিম।
তিনি বলেন, ‘মোদি খালেদাকে তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলেন। প্রথম প্রশ্ন ছিল- প্রণব মুখার্জি যখন এদেশে এসেছিলেন, তখন কেন হরতাল দেওয়া হয়েছিল এবং খালেদা কেন তার সঙ্গে দেখা করেননি? এর জবাবে খালেদা জিয়া বলেছিলেন- হরতাল দেওয়াটা জোটের সিদ্ধান্ত ছিল।’
শেখ সেলিম বলেন, ‘দ্বিতীয় প্রশ্নে মোদি জানতে চেয়েছিলেন, চট্টগ্রামের ১০ ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়েছিল আপনার সরকারের সময়। আর সেখানে আপনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিল্পমন্ত্রীর নাম উঠে এসেছে। এর কারণ কী এবং আপনি এর জন্য কী পদক্ষেপ নিয়েছেন? যার কোনো উত্তর খালেদা জিয়া দিতে পারেননি।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরো বলেন, ‘মোদি তাকে (খালেদা জিয়া) তৃতীয় প্রশ্ন করেছিলেন বর্ধমানের খাগড়াগড় বোমা হামলায় বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ তদন্তে জামায়াত-শিবিরের জঙ্গীদের নাম এসেছে। এ বিষয়ে আপনি কী মনে করেন? যার জবাবও খালেদা জিয়া দিতে পারেননি।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘রোহিঙ্গা আমদানি করেছিলেন’ বলেও মন্তব্য করেন শেখ সেলিম।
শেখ সেলিম বলেন, ওরা (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশে এসে এমন অপরাধ নেই, যা করে না। ওরা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, মানবপাচার থেকে শুরু করে সব ধরনের অপরাধ করছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে এদের বিচার করার জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
খালেদা জিয়ার আন্দোলনকে শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলন দাবি করে শেখ সেলিম বলেন, ‘পেট্রলবোমা তো খালেদা জিয়ার আবিষ্কার। এটা ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি। যে রাজনীতিতে নীতি হচ্ছে ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারবে না, পরীক্ষা দিতে পারবে না, বিশ্ব ইজতেমার নামাজ পড়তে পারবে না, রাসুল (স:) এর জন্মদিনে ইবাদত করতে পারবে না। তিনি চান এখানে অনির্বাচিত শাসক আসুক।’
তিনি বলেন, ‘তাকে (খালেদা জিয়া) বাংলার রাজনীতি থেকে বিদায় দিতে হবে। দেশবাসীকে এজন্য আগামীতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
মন্তব্য চালু নেই