মোটরসাইকেল না পেয়ে ছেলের আগুনে দগ্ধ বাবার মৃত্যু

নতুন মডেলের মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় কিশোরের দেয়া আগুনে দগ্ধ বাবা মারাই গেলেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর শহরে নিজ বাড়িতে আগুনে দগ্ধ এ টি এম রফিকুল হুদা ছয় দিন পর বুধবার সকালে মারা গেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। তিনি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদার ভাই।

সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রফিকুল হুদা মারা যান বলে জানিয়েছেন বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা। আগুনে তার শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এই ধরনের রোগীদের বাঁচানো প্রায় অসম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রফিকুল হুদার ভগ্নিপতি আকরাম উদ্দিন আহমেদ জানান, চলতি বছর ফরিদপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেওয়ান ফারদিন হুদা মুগ্ধ একটি নতুন মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার আবদার করেছিলেন বাবার কাছে। কিন্তু তার বাবা রফিকুল হুদা এই আবদার মেনে না নেয়ায় বাবার ওপর ক্ষুব্ধ হয় মুগ্ধ। এক পর্যায়ে ঘরের মধ্যে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় সে। এতে তার বাবা পুড়ে যায়।

রফিকুলকে তাৎক্ষণিকভাবে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। রফিকুলের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

এই ঘটনার পর থেকে মুগ্ধ বাড়িতেই তার মায়ের সঙ্গে থাকছে। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে অন্যান্য স্বজনের সঙ্গে সেও ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে।

মুগ্ধর স্বজনরা এর আগে জানিয়েছে, এই কিশোর মানসিকভাবে সুস্থ নয়। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছে, মুগ্ধ মাদকাসক্ত হয়ে গিয়েছিল।

ফরিদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজিমউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। কিন্তু যেহেতু একজন মারা গেছেন, তাই তারা অভিযোগ না করলেও পুলিশই পদক্ষেপ নেবে।

এক প্রশ্নের জবাবে নাজিমউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রফিকুল ইসলামের ফরিদপুরে লাশ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবো আমরা।’



মন্তব্য চালু নেই