মোটরবাইক বীমায় সুবিধা না থাকলেও আছে মামলা-জরিমানা

মোটরসাইকেলের বীমা নিয়ে বিআরটিএ পুলিশ এবং চালকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিআরটিএ বলছে, আইনে আছে তাই সকল যানবাহন মালিককে বীমা করতে হবে। আর পুলিশ বলছে যানবাহনের ৫ টি কাগজের মধ্যে একটি হলো বীমা। এটা না থাকলে জরিমানার বিধান রয়েছে।
তবে মোটরবাইক চালকরা বলছেন, এই বীমায় কোন উপকার নেই। প্রাইভেটকার বা অন্য কোন বড় যানবাহন দূর্ঘটনা কবলিত হলে কোম্পানীর আইন অনুযায়ী বীমা সুবিধা পেয়ে থাকে। কিন্তু কোন মোটর বাইক চালক কোনদিন বীমা সুবিধা পেয়েছেন বলে কারও জানা নেই। এটা বিআরটিএ আর পুলিশি ঝামেলা বলে উল্লেখ করেন তারা।
এ বিষয়ে ডিএমপির তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের সিনিয়র সহকারি কমিশনার আবু ইউসুফ বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিআরটিএর সঙ্গে আলোচনা হওয়া দরকার। বীমা কোম্পানী গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নেবে সুবিধা দেয়ার জন্যই। কিন্তু তারা সুবিধা না দিলে গ্রাহকরা টাকা দেবে কেন? তবে আইন অনুযায়ী কোন চালক বীমার কাগজ দেখাতে না পারলে ট্রাফিক পুলিশ মামলা বা জরিমানা করতে পারবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যানবাহনের ৫ টি কাগজের মধ্যে বীমাও একটা।
এদিকে মোটর সাইকেলের বীমার মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে বা না থাকলে ৫ শ’ থেকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে ট্রাফিক পুলিশ। আর বীমায় খরচ হয় মাত্র আড়াইশ’ টাকা। এছাড়া চালক লাইসেন্স করতে খরচ হয় ৬ হাজার টাকা। মেয়াদোত্তীর্ণ বা না থাকলে ২ শ’ টাকা জরিমানা। কিন্তু এই বীমায় পুলিশ খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে।
এ বিষয়ে বিআরটিএ ঢাকা সার্কেলের সহকারি পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, বীমায় সুবিধা নেই তা নয়। সাধারণত মোটরবাইক মালিকরা থার্ড পার্টি বীমা করেন। তারা যদি ফার্ষ্ট পার্টি হতেন তাহলে সুবিধা পেতেন। আর আমাদের দেশের বাইক মালিকদের এই বীমার আওতায় আনতেই আইন করা হয়েছে। যে কারণে পুলিশ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। বাইক মালিককে বীমা সুবিধা পেতে ফার্ষ্ট পার্টি বীমার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
মন্তব্য চালু নেই