মে দিবসেও ঝরছে শ্রমিকের ঘাম
মহান মে দিবস আজ। সকল শ্রমিকের দাবি আদায়ে সোচ্চার হওয়ার দিন আজ। কিন্তু এ দিনেও শ্রমিকের ঘাম ঝরতে দেখা গেছে।
আজকের দিনে অনেকেই ছুটি কাটিয়েছেন। ঘরে শুয়ে বসে আছেন। তবে এর বিপরীতে কিছু শ্রমিক একটানা কাজ করেই যাচ্ছেন। এদের মধ্যে মোটর শ্রমিক, রিকশা চালক, হোটেল শ্রমিক ও কুলি রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এ রকম চিত্র দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজারে কুলির কাজ করেন আনোয়ার। তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমাগো আবার দিবস কিসের? দিন আনি দিন খাই। পোলাপান লইয়া দুবেলা দুমুঠো খাইতে পারি। ভাই, দিবস-টিবস বুঝিনা। পেট বাঁচলেই আমরা বাঁইচা থাকমু। হেতেই আমাগো সুখ। এ্যার বেশি কিছু চাই না।’
দয়াগঞ্জে রিকশা চালক আনছার বলেন, ‘কিসের মে দিবস। হেই দিন আবার কিসের ছুটি। সবাইকে দেখি ছুটি কাটাইতেছে। ছুটি কাটাইলে সরকার আমাগো কি বাড়িত চাউল-ডাউল দিইয়া যাইবো। আমাগো কি কাপড়-চোপড় দিইয়া যাইবো। সরকার কিছুই দিবো না। তাই কাজ কইরা খাইতেছি। বউ-বাচ্চাকে বাঁচাইতে হইলে কাম-কাজ বন্ধ করণ যাইবো না।’
এদিকে মতিঝিল ঘরোয়া হোটেলে গিয়ে দেখা যায়, কাস্টমার অনেক বলে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মচারীদের। ম্যানেজার বলেন, এই দিনে সবাই কাজ করে না। কেউ ছুটি নিয়েছে আবার কেউ নেয় নি। যেহেতু মে দিবস তাই তাদের কাজ থেকে বিরত রাখতে হয়েছে।
অন্যদিকে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ও বিপনী বিতান ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশই বন্ধ রয়েছে। দোকান মালিকরা বলছেন, দোকানে কর্মচারী এবং বেচাকেনা নেই তাই দোকান বন্ধ রাখতে হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই