মেয়ে হিসেবে কেমন ছিলেন তনু?

বর্তমানে দেশের গণ্ডি ছাপিয়েও বিশ্বব্যাপি নিন্দা আর প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে আলোচিত তনু হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনার বিচার ও দোষিদের গ্রেপ্তার দাবীতে প্রতিদিনই চলছে অব্যহতভাবে বিক্ষোভ। অবাল-বৃদ্ধা-বনিতা আজ সবার মুখেই ফিরছে তনু নামটি। সেই তনু জীবদ্দশায় কেমন ছিলেন?

জানা গেছে, কুমিল্লা সেনানিবাসের ৫৮/১ পাহাড় হাউসে বসবাস করা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাসের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর সঙ্গে সবার সুসম্পর্ক ছিল। ছোট থেকে তিনি বড় হন কুমিল্লা সেনানিবাসেই। সেনানিবাসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও যোগ দিতেন তিনি। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাকে ভালো জানত। ভিক্টোরিয়া কলেজের সবাই তাকে পছন্দ করত। তনুর সঙ্গে একই বাড়িতে থাকত তার সমবয়সী চাচাতো বোন নাইজু জাহান। তনুর দীর্ঘদিনের সঙ্গী নাইজু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের স্নাতক শিক্ষার্থী।

নাইজু একটি দৈনিককে জানিয়েছেন, ‘সে (তনু) রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কারো দিকে তাকাত না। আমরা তার ঘটনা শুনে বিস্মিত। কারণ আমরা সেনানিবাসে থাকতাম। আমরা এমন কিছু দেখিনি। কিন্তু হঠাৎ এটা কী হলো, কিভাবে হলো, আমরা বুঝতে পারছি না।’

নাইজু জাহান আরো বলেন, ‘‘পিয়ার নামে এক ছেলে তাকে বিরক্ত করত। সে পড়াশোনা করে এবং সেনানিবাসেই থাকে। প্রাইভেট পড়াতে যাওয়ার সময় সে প্রায়ই তনুকে বিরক্ত করত। তনু নিজে আমাকে এ কথা বলেছে। একদিন সে রাস্তায় পিয়ারকে দেখিয়ে বলেছিল, ‘এই ছেলেটিই আমাকে ডিস্টার্ব করে’।”

তবে পিয়ার সম্পর্কে নাইজু বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তনুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে যে তথ্য বের হয়েছে, এর প্রতিবাদ করেন নাইজু। তিনি বলেন, লাশ দেখে তাদের মনে হয়নি তাকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে।

অন্যদিকে তনুকে উত্ত্যক্তকারী যুবক পিয়ারের বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১টায় ৭১ টিভির সরাসরি সম্প্রচারিত টক শোতে কুমিল্লার পুলিশ সুপারকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। টক শোতে অংশ নেন কালের কণ্ঠ’র নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কাশেম হৃদয়ও।

সন্দেহভাজন যুবক পিয়ার সম্পর্কে হৃদয় জানতে চাইলে পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন টক শোতে বলেন, পুলিশ পিয়ার সম্পর্কে কিছু জানে না। ওই টক শোতে আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও কাজী সিরাজ।

ওই সময় তনু হত্যার কোনো ক্লু পাওয়া গেছে কি না আবুল কাশেম হৃদয়ের এই প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, ‘এই মামলায় হাইলি কিছু টেকনিক্যাল ব্যাপার আছে। এটা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কিছু বলতে পারছি না।’ সূত্র : কালের কণ্ঠ



মন্তব্য চালু নেই