মেয়ে-জামাইয়ের সন্তান গর্ভে ধারণ করলেন মা !

গর্ভপাত ও সারোগেট পদ্ধতি (অন্যের গর্ভে বাচ্চা ধারণ) ব্যর্থ হওয়ার পর সন্তান কোলে না নিতে পারায় একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন সীতালক্ষ্মী। কিন্তু নাতনির ভ্রুণ গর্ভে ধারণ করে মেয়ের সেই বাসনা পূর্ণ করেছেন তার মা।

২৭ বছর বয়সে চিরদিনের জন্যে সন্তান ধারণের সক্ষমতা হারাতে হয় সীতালক্ষ্মীকে। গর্ভকালীন জটিলতায় নষ্ট করতে হয় একটি সন্তান। শেষ পর্যন্ত তার স্বামী এমন একজন নারীকে খুঁজছিলেন যিনি তার সন্তান ধারণ করবেন। কিন্তু তাও মেলেনি। অবশেষে অবশেষে সীতালক্ষ্মীর ৬১ বছর বয়সী মা তার গর্ভে ধারণ করলেন মেয়ের সন্তান!

এ ঘটনার তদারক করেন চেন্নাইয়ের আকাশ ফার্টিলিটি সেন্টার অ্যান্ড হসপিটাল এর চিকিৎসক ড. কে এস জিয়ারানি।

ড. কে এস জিয়ারানি বলেন, বিয়ের পর পরই গর্ভবতী হন সীতালক্ষ্মী। কিন্তু সাত মাস পর জটিলতা দেখা দেয়। অতিমাত্রায় রক্ত ক্ষরণের কারণে সন্তানটি ফেলে দিতে হয়। ২০১৩ সালে সন্তান ধারণের জন্যে একজন নারীও খুঁজেছিলে সীতা ও তার স্বামী। কিন্তু এর আগে অন্য এক দম্পতির জন্যে গর্ভধারনে ইচ্ছুক এক নারী ৮ লাখ রুপি নিয়েছিলনে। এত অর্থ এই দম্পতির নেই। তাই চিকিৎসক তাদের আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে কোনো আগ্রহী নারী খুঁজতে বলেন।

অবশেষে এ কাজে রাজি হন সীতালক্ষ্মীর মা। চিকিৎসক জানান, ৬১ বছর বয়সী ওই নারী তার মেনোপজ অতিক্রম করে এসেছেন। টানা দুই মাস ধরে দেহের হরমোন সংক্রান্ত নানা চিকিৎসা দেওয়া হয়। চার মাস পর মেয়ের ডিম্বাণু এবং স্বামীর শুক্রাণুর মিলিত ভ্রূণ স্থাপন করা হয় মায়ের গর্ভে। নয় মাস পর জন্ম হয় সুস্থ কন্যা শিশুর। এভাবে ওই নারী তার গর্ভে ধারণ করলেন নাতনীকে। জন্মের পর চার মাস স্তন্যদানও করেছেন নানী। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া



মন্তব্য চালু নেই