মেয়েরা চাকরিতে বেরোলেই ১০০ বেতের ঘা

কোনও আরব দেশ নয়, ভারতের ছবি। চমকে উঠলেও এমন ঘটনা ঘটছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মেরঠে।

সংসারের দৈনিক চাহিদা মেটাতে ঘর ছেড়ে রোজগার করতে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। দুঃসাহসের পুরস্কার জুটল অচিরেই। খাপ পঞ্চায়েতের রোষে পড়ে বেতের ঘা ও লাখ টাকার জরিমানা জারি হল মেরঠের গ্রামের ৩ মহিলার উপর।

উত্তর প্রদেশের মেরঠ জেলার পিপলিখেড়া গ্রামে নট সম্প্রদায়ের ১০০ পরিবারের বাস। প্রবল দারিদ্র তাঁদের নিত্য সঙ্গী। অভাবের সংসারে বাড়তি আয়ের জন্য কাজের সন্ধানে বেরিয়েছিলেন এই পরিবারের তিন মহিলা প্রেমবতী, গীতা ও পিঙ্কি।

কঠিন পরিশ্রমের বিনিময়ে রোজগারের চেষ্টা শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু ঘরের গন্ডি পেরিয়ে বাইরের দুনিয়ায় পা রাখার জন্য তাঁদের উপর প্রবল চটে যায় পিপলিখেড়া গ্রামের পঞ্চায়েত। বাড়ির বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে মেয়েদের উপর ফতোয়া জারি করা হয়।

পঞ্চায়েতের চোখ রাঙানির কাছে হার মানে পেটের জ্বালা। নিরুপায় তিন মহিলা খাপের নিষেধ অমান্য করে ফের রোজগার করতে বের হন। দিনের শেষে গ্রামে ফিরলে পঞ্চায়েতের কাঠগড়ায় তোলা হয় তাঁদের।

পঞ্চায়েতের বিধানে এই তিন জনের প্রত্যেককে ১০০ ঘা বেত মারা হয়। ক্ষত-বিক্ষত তিন মহিলা পুলিশের কাছে এই ব্যাপারে অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করলে বিপদ বাড়ে। পঞ্চায়েতের তরফে কড়া নির্দেশ জারি করা হয়, পুলিশে অভিযোগ জানালে অতিরিক্ত ১০,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে।

পঞ্চায়েতি ফরমানে কোণঠাসা তিন নট পরিবার আপাতত আতঙ্কে দিশাহারা। পিপলিখেড়া গ্রামের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান জহরুদ্দিন জানিয়েছেন, ওই তিন পরিবারের সদস্যরা তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। তবে পঞ্চায়েতের অত্যাচার নিয়ে হেলদোল নেই পুলিশের।

খারখৌদা থানার এস ও জানিয়েছেন, বিষয়টি নট সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগত সমস্যা। তাই এই ব্যাপারে পুলিশের কিছু করার নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সূত্র : এই সময়



মন্তব্য চালু নেই