মেসির ঝলকে ডি মারিয়ার গোলে শেষ আটে আর্জেন্টিনা

শেষমুহুর্তে মেসির ঝলকে ডি মারিয়ার গোলে শেষ আটে উঠলো আর্জেন্টিনা। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিট দুই আগে ঝলক দেখালেন লিওনেল মেসি। সেই ঝলকেই মেসির পাঠানো বল থেকে গোল করতে ভুল করলো না ডি মারিয়া। আর তাতেই সুইজারল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলো টপ ফেবারিট আর্জেন্টিনা।
এর আগে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে কোনো দলই গোল পায়নি। অতিরিক্ত সময়ের খেলাও গড়াচ্ছিল টাইব্রেকারের দিকে। তখনই মেসির দারুণ পাস থেকে ম্যাচের একমাত্র গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন আনহেল দি মারিয়া।

মঙ্গলবার সাও পাওলোর আরেনা দে সাও পাওলোয় প্রথম পঁচিশ মিনিট পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই।

২৭তম মিনিটে প্রথম সুযোগটি পায় সুইজারল্যান্ড। জেরদান শাচিরির কাছ থেকে বল পেয়ে ডি বক্সের ভেতর থেকে গ্রানিট জাকার শট ঠেকান সের্হিও রোমেরো। ফিরতি বলে স্টেফান লিখটস্টাইনারের শটও ঠেকান আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক।

সুইসদের এই আক্রমণই তাতিয়ে দেয় দুইবারের চ্যাম্পিয়নদের। দুই মিনিট পর প্রথম সুযোগটি তৈরি করে আলেহান্দ্রো সাবেইয়ার শিষ্যরা। গনসালো হিগুয়াইনের কাঁধে লেগে ডি বক্সে বল পেলেও ঠিকভাবে মারতে না পেরে সুযোগ হাতছাড়া করেন এসেকিয়েল লাভেস্সি।

পরের মিনিটে আনহেল দি মারিয়ার কর্নার থেকে সুযোগ এসেছিল আর্জেন্টিনার সামনে। তার চমৎকার কর্নারে এসেকিয়েল গারায় মাথা ছোঁয়াতে পারলেই এগিয়ে যেতে পারতো আর্জেন্টিনা।

৩৯তম মিনিটে শাচিরির ক্রস থেকে দারুণ একটি সুযোগ এসেছিল ইয়োসিপ দারমিচের সামনে। রোমেরোকে একা পেয়েও তার হাতে তুলে দিয়ে সবুর্ণ সুযোগটি হাতছাড়া করেন তিনি।

পরের মিনিটে সুযোগ এসেছিল দি মারিয়ার সামনে। তার সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। নিজে শট না নিয়ে দেন দি মারিয়াকে। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গারের শটে জোর না থাকায় ধরতে কোনো সমস্যা হয়নি দিয়েগো বেনাল্লিওর।

৫৯তম মিনিটে মার্কোস রোহোর শট ঠিকভাবে ফেরাতে পারেননি বেনাল্লিও। তবে কোনো বিপদ হয়নি। তিন মিনিট পর রোহোর ক্রস থেকে হিগুয়াইনের হেড ঠেকিয়ে আবারো সুইসদের ত্রাতা ভলসবুর্গের গোলরক্ষক।

৭৪তম মিনিটে লাভেস্সির বদলি নামার পর প্রথম স্পর্শেই গোল পেতে পারতেন রদ্রিগো পালাসিও। মেসির ক্রস থেকে মাথা ছোঁয়ালেও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি।

দুই মিনিট পর মেসির দারুণ একটি চেষ্টা ব্যর্থ করেন বেনাল্লিও। ডি বক্স থেকে আর্জেন্টিনা অধিনায়কের ডান বার ঘেঁষা শট কোনোমতে ঠেকান তিনি।

৮৯তম মিনিটে তিনজনকে কাটিয়ে ডি বক্সে পালাসিওকে দারুণ একটি পাস দেন মেসি। কিন্তু সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি ইন্তার মিলানের এই স্ট্রাইকার।



মন্তব্য চালু নেই