মেঝে ঘামা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই

আফজাল হোসেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী। সকালে আজিমপুরের বাসা থেকে বের হওয়ার সময় তার স্ত্রী বলছিলেন, ‘গত দু’দিন যাবত ঘরের মেঝে ঘামছে। কেমন যেন স্যাঁতস্যাঁতে গুমোট পরিবেশ। গরমও বেশ।’

বিষয়টি নিয়ে তখন না ভাবলেও অফিসে গিয়ে সহকর্মীদের কাছে একই তথ্য জেনে বেশ উদ্বিগ্ন হন তিনি। এমন পরিবেশে সন্তানদের স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হয় কিনা তা ভেবে চিন্তায় পড়েন।

এদিকে মেঝে ঘামার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ আলোচিত হচ্ছে। তবে কেন এমন হচ্ছে? এর ফলে নির্দিষ্ট কোনো অসুখের প্রকোপ বাড়বে কিনা তা জানতে চাইলে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক পরিচালক ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, মেঝে ঘামার ফলে সরাসরি কোনো অসুখ হবে না। তবে আর্দ্রতার কারণে ঠান্ডা-কাশি হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আবহাওয়াজনিত তারতম্যের ফলে ঘরের মেঝে ঘামতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে তা ঠান্ডা বস্তুর সংস্পর্শে ঘামের সৃষ্টি হয়। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় শরীরও তুলনামূলকভাবে বেশি ঘামে।

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ১৯ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মোট সাতদিনে রাজধানী ঢাকায় ১৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তন্মধ্যে ১৯ এপ্রিল ১৬ মিলিমিটার, ২০ এপ্রিল ৩৯ মিলিমিটার, ২১ এপ্রিল ১ মিলিমিটার, ২২ এপ্রিল ২৫ মিলিমিটার, ২৩ এপ্রিল ৩২ মিলিমিটার, ২৪ এপ্রিল ৪১ মিলিমিটার এবং ২৫ এপ্রিল ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

একই সময়ে রাজধানী ঢাকায় সর্বনিম্ন ২০ ও সর্বোচ্চ ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আজও (মঙ্গলবার) সর্বনিম্ন ২০ ও সর্বোচ্চ ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই