মৃত মানুষের হৃৎপিণ্ড জীবিত দেহে প্রতিস্থাপন
মৃত মানুষের হৃৎপিণ্ড জীবিত মানুষের দেহে প্রতিস্থাপন করে নজির সৃষ্টি করলো অস্ট্রেলিয়ার একদল শল্য চিকিৎসক। মৃত মানুষের হৃৎপিণ্ড জীবিত মানুষের দেহে প্রতিস্থাপনের ঘটনা বিশ্বে এটাই প্রথম।
সম্প্রতি সিডনির সেন্ট ভিনসেন্ট হাসপাতালের একদল শল্য চিকিৎসক একজন মৃত মানুষের হৃৎপিণ্ড নিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত মিশেল গ্রিবেলাস-এর দেহে প্রতিস্থাপন করেছেন।
সাধারণত দাতার মস্তিষ্কের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন থাকতে থাকতে তা আলাদা করে চার ঘণ্টা বরফে রেখে পরে কোন ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা হতো। কিন্তু এবারই কোন ব্যক্তির মৃত্যু হওয়ার পর এবং হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন বন্ধ হওয়ার ২০ মিনিট পর সেই হৃৎপিণ্ড নিয়ে জীবিত ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা হলো।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হয়েছে, একবার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ওই হৃৎপিণ্ডে আর স্পন্দন ফিরে আসে না। ধারণা করা হতো, স্পন্দন বন্ধ হওয়া হৃৎপিণ্ড রক্ত সংবহন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। যে কারণে স্পন্দন বন্ধ হওয়া হৃৎপিণ্ড আর ব্যবহার করা হতো না।
অস্ট্রেলিয়ার শল্য চিকিৎসকরা এই অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সেই ধারণা ভুল বলে প্রমাণ করলেন। শুধু তাই নয়, চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন একটি অধ্যায়েরও সূচনা করলেন। এখন হৃৎপিণ্ডে অস্ত্রোপচার এবং হৃৎপিণ্ড পাওয়া সহজলভ্য হবে।
চিকিৎসকরা ‘হার্ট ইন-এ-ক্স’ যন্ত্রের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন ফিরিয়ে আনেন। এই যন্ত্র হৃৎপিণ্ডকে উষ্ণ রেখেছে, হৃৎস্পন্দন ফিরিয়ে এনেছে এবং হৃৎপেশিগুলো যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার জন্য বিশেষ ধরণের তরল নির্গমন করেছে।
৫৭ বছর বয়সী গ্রিবেলাস জানিয়েছেন, তিনি এখন সুস্থ্য। তার বয়স ১০ বছর কমেছে বলে মনে হচ্ছে। তিনি চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান তাকে সুস্থ্য জীবনে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।
সূত্র : যুগশঙ্খ।
মন্তব্য চালু নেই