মৃত্যু আসছে! বুঝতে পেরেছিলেন বাসচালক!! তাই থামালেন বাস!!! বেঁচে গেলেন যাত্রীরা

মৃত্যু আসছে। বুঝতে পেরেছিলেন বাসচালক। এও বুঝতে পেরেছিলেন যে মৃত্যুর নিশানায় সম্ভবত তিনি একা নন। রাতের বাসে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকা ৩৭ জন যাত্রীও ঢলে পড়তে পারেন মৃত্যুর কোলে। সাইদুলু কিন্তু তা হতে দিলেন না। বাস এবং যাত্রীদের অক্ষত রেখে নিজে ঢলে পড়লেন স্টিয়ারিং হুইলের উপরে। ঘটনাটি তেলঙ্গানার। আজ ভোররাতের এই ঘটনার পর ঘোর কাটাতে পারছেন না বাসটির অনেক যাত্রীই।

যে বাসে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি খাম্মাম থেকে হায়দরাবাদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। নলগোন্ডা জেলার নাকিরেকলের কাছে পৌঁছে মৃত্যুর হাতছানি অনুভব করেন চালক সাইদুলু। রাত তখন ৩টে। যাত্রীরা সকলেই ঘুমোচ্ছিলেন। আচমকা বাস রাস্তার ধার ঘেঁষে থেমে যাওয়ার পর কারও কারও ঘুম ভাঙে। তাঁরাই দেখেন, সাইদুলু স্টিয়ারিং-এর উপর উপুড় হয়ে রয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাস চালাতে চালাতে সাইদুলু হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তার জেরেই স্টিয়ারিং-এর উপরে ঢলে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু ঢলে পড়ার আগে তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সড়ক পরিবহণ নিগমের বাসটিকে যে ভাবে রাস্তার ধার ঘেঁষে পার্ক করিয়ে দিয়েছিলেন সাইদুলু, তাতে স্পষ্ট যে নিজের অসুস্থতা বুঝতে পারার পর তিনি বাসটিকে তথা যাত্রীদের বাঁচাতে বদ্ধপরিকর হয়ে ওঠেন।

চালক ঢলে পড়েছেন দেখতে পাওয়ার পর যাত্রীরা দ্রুত খবর দেন পুলিশে। অ্যাম্বুল্যান্সও ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়ে দেন, সাইদুলুর দেহে আর প্রাণ নেই।

বছর পঁয়তাল্লিশের সাইদুলু তেলঙ্গানার সরকারি পরিবহণ সংস্থার খাম্মাম ডিপোতেই নিযুক্ত ছিলেন। মাঝপথে তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে যাত্রীদের জন্য অন্য একটি বাস পাঠিয়ে দেয় পরিবহণ সংস্থা। তবে নিজে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার আগেও ওই চালক যে ভাবে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে গিয়েছেন, তাতে বাসটির যাত্রীদের আলোচনায় এখন শুধুই সাইদুলু।



মন্তব্য চালু নেই