মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ে বাবাকে পাশে পেলেন খাদিজা
হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করা সিলেটের কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস পাশে পেয়েছেন তার বাবা মাসুক মিয়াকে। সৌদি প্রবাসী মাসুক রাতে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দেশে আসেন। ভোরে তিনি স্কয়ার হাসপাতালে পৌঁছেন।
স্কয়ার হাসপাতালে মঙ্গলবার অপারেশন হয়েছে খাদিজার। তাকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা।
সোমবার মেয়ের ওপর আক্রমণের ঘটনাটি সৌদি আরব থেকে শুনেছেন বাবা মাসুক মিয়া। টিকিট নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানে চেপেছেন তিনি। মেয়েটি বাঁচবে তো?-এই ভাবনা নিয়ে চোখে জলসহ সকালে হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। এরপর কয়েক ঘণ্টা মেয়ের পাশেই আছেন মাসুক।
হাসপাতালে ঢোকার সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেননি খাদিজার বাবা। তার অবস্থা দেখে চাপাচাপি করেননি গণমাধ্যমকর্মীরাও।
কিছুক্ষণের মধ্যে হাসপাতালে আসার কথা খাদিজার বড় ভাই শাহীন আহমদেরও। চীনে চিকিৎসাবিজ্ঞানে পড়ছেন। বোনের দুঃসময়ে বোনের পাশের দাঁড়াতে দেশে ফিরছেন তিনি।
সকালে খাদিজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নূরুল ইসলামও আসেন হাসপাতালে। বেলা ১১টার দিকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, খাদিজা আগের চেয়ে কিছুটা ভাল অবস্থায় আছে। তবে তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার ভেতরে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।’
প্রেমের ডাকে সাড়া না দেয়ায় গত সোমবার সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম খাদিজাকে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান। এই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে।
এই ঘটনার পর বদরুলকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। খাদিজার চাচার মামলায় বদরুলকে সিলেটের একটি আদালতে তোলার পর বুধবার তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালত পরিদর্শক।
এই ঘটনাটি সারাদেশের আলোড়ন তুলেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে বদরুল পার পাবে না। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বদরুলের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়ে বলেছেন, এ বিষয়ে তথ্য প্রমাণ হাতেই আছে।
মন্তব্য চালু নেই