মৃতদেহ হেঁচড়ে টেনে শহর ঘুরল ঘাতক গাড়ি, দেখুন ভিডিও

কেন্দ্রীয় পাওয়ার গ্রিড সংস্থার গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতদেহ সমেত গাড়িটি তাণ্ডব চালিয়ে বেড়ালো শহরজুড়ে। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় মূল অভিযুক্ত ধরা পড়লেও অন্য দুই দুষ্কৃতী ধরা না পড়ায় জাতীয় সড়কের উপর একটি পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় এলাকার বাসিন্দারা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুর থানার কসাইখানার বাসিন্দা রাজু শেখ (৩৫) সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিল। গোরাবাজার শ্মশানঘাটের কাছে পাওয়ার গ্রিডের গাড়ি ধাক্কা মারে ওই যুবককে। শুধু ধাক্কা মারা নয়, মৃতদেহ হেঁচড়ে শহরজুড়ে তাণ্ডব চালাল কেন্দ্রীয় পাওয়ার গ্রিড সংস্থার ওই গাড়িটি। মৃতদেহ-সহ গাড়িটি প্রায় এক কিলোমিটার যায়। গাড়িটির সামনে পড়ে গুরুতর আহত হন আরও চার ব্যক্তি। চারটি ট্রাফিক সিগন্যাল ভাঙার পাশাপাশি রেলগেটও ভেঙে বেরিয়ে যায় গাড়িটি। অবশেষে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বেলডাঙা থানায় ভাবতায় কাছে একটি রেলগেটে পুলিশ গাড়িটিকে আটক করে।

সূত্রের খবর, অভিযুক্ত গাড়ি চালক সুরজিৎ মদ্যপ ছিল বলে অভিযোগ। বহরমপুর থানার হরিদাস মাটি এলাকা থেকে তিন বন্ধু মিলে মদ খেয়ে গাড়ি নিয়ে বহরমপুরের দিকে আসছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় রাজু শেখকে ধাক্কা মারে ওই গাড়িটি। সাইকেল-সহ রাজু শেখ গাড়িতে আটকে থাকলেও শহর ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সুরজিৎ এবং তার বন্ধুরা। তিনবার চেষ্টা করেও ট্রাফিক পুলিশ গাড়িটি আটকাতে পারেনি। এর পরেই তাদের গাড়িটি ধাক্কা মারে পথচারীদের। স্কোয়ার ফিল্ডের কাছে মৃতদেহটি গাড়ি থেকে আলাদা হয়ে যায়। পরে গাড়িটি গঙ্গার ধার দিয়ে বেলডাঙার দিকে যাওয়ার সময়ে গাড়িটিকে ধাওয়া করে পুলিশের গাড়ি। পাশাপাশি স্থানীয় প্রায় পঞ্চাশটি মোটর বাইকও ঘাতক গাড়িটিকে ধাওয়া করে।

তাড়াহুড়ো করে বলরামপুর রেলগেট ভেঙে গাড়িটি জাতীয় সড়কে ওঠে। পরে ভাবতা রেলগেটে পাওয়ার গ্রিড সংস্থার ওই গাড়িটি আটক করে বেলডাঙা থানার পুলিশ। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নদীয়ার দেবগ্রামের বাসিন্দা সুরজিৎ হালদার গ্রেপ্তার হলেও সুরজিতের সঙ্গী দু’জন পলাতক। দীর্ঘক্ষণ পলাতক দুই অভিযুক্তকে ধরতে না পারায় জাতীয় সড়কের উপর একটি পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন



মন্তব্য চালু নেই