একরাম হত্যা
মূলহোতা জিহাদ চৌধুরীর নাটকীয় গ্রেপ্তার!
ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হক একরাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মূলহোতা জিহাদ চৌধুরীর গ্রেপ্তার নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় ফেনী মডেল থানার পুলিশ ফেনী পৌরসভার বারাহীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
এর আগে শনিবার দুপুর ২ টায় র্যাব হেড কোয়ার্টার্স থেকে ব্রিফিংয়ে জাহিদ চৌধুরীর গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছিল।
ওই সময় র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, জাহিদ চৌধুরী ফেনী থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। যদিও ফেনী জেলা পুলিশ ও র্যাবের অন্য কর্মকর্তারা গ্রেপ্তারের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এদিকে, রোববার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই ফেনী মডেল থানা পুলিশ জিহাদ চৌধুরীর গ্রেপ্তারের খবর গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে প্রকাশ করে। ফেনী পৌরসভার বারাহীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোতে প্রচার করা হয়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে র্যাবে ফেনী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আহমদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘যে কোনো জায়গায় নামের বিভ্রাট হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে জাহিদ নামে একজন গ্রেপ্তার করেছি। পরে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।’
এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মোরশেদ জানান, আগের দিন শুক্রবার জাহিদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার গ্রেপ্তার হয়েছেন মূলহোতা জিহাদ চৌধুরী।’
তবে গ্রেপ্তার জাহিদ চৌধুরীকে কেন আদালতে নেয়া হয়নি কিংবা তার অবস্থান এখন কোথায় এমন প্রশ্ন করলে ওসি মাহবুব মোরশেদ কোনো মন্তব্য না করে মুঠোফোন রেখে দেন।
উল্লেখ্য, গত ২০ মে ফেনীর একাডেমি এলাকার বিলাসী সিনেমা হলের সামনে প্রকাশ্যে ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হক একরামকে গুলি করে ও পুড়িয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার সঙ্গে থাকা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক ও গাড়িচালকও অগ্নিদগ্ধ হন।
মন্তব্য চালু নেই