মূত্রনালীর সংক্রমণ, প্রতিদিন যা করলে প্রতিরোধ সম্ভব

মূত্রনালীতে সংক্রমণকে (ইউটিআই) সাধারণ রোগ ভেবে ভুল করবেন না। এটা হল এক ধরনের ব্যাকটেরিয়াঘটিত সংক্রমণ যার ফলে মূত্রনালি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মূত্রনালির সংক্রমণ পুরুষদের তুলনায় নারীদের ক্ষেত্রেই তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায়, অর্ধেক সংখ্যক নারীরা জীবনের কোনও না কোনও সময় অন্তত একবার সংক্রামিত হন। বার বার হবার ঘটনা প্রায়শই দেখা যায়।

চিকিৎসকের ভাষায়, যখন এর ফলে মূত্রনালির নিম্নাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন তাকে সাধারণ সিস্টাইটিস (মূত্রথলির সংক্রমণ) বলে আর যখন এর ফলে মূত্রনালির ঊর্ধ্বাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন তাকে পায়েলোনেফ্রাইটিস (কিডনির সংক্রমণ) বলে।

মূত্রনালীর সংক্রমণের সাধারণ লক্ষণ হলো প্রস্রাবে রক্ত, বেদনাদায়ক সেইসাথে ঘন মূত্রত্যাগ, তলপেটে ব্যথা এবং মর্মপীড়া, শ্রোণিচক্র চাপ, ইত্যাদি দেখা যায়।

এছাড়া প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া তবে যাদের পাইলোনেফ্রাইটিস হয় তাদের ক্ষেত্রে মূত্রনালির নিম্নাংশের ইউটিআই সংক্রমণের মত উপসর্গ ছাড়াও জ্বর এবং পেট ব্যথা হয়।

গবেষকদের মতে, তিনটি বিষয় প্রতিদিন বিশেষভাবে অনুসরণ করলে এ রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। নিম্নে তা আলোচনা করা হল :

* প্রোবায়োটিকস ব্যাকটেরিয়া (Probiotics) গ্রহণ করতে হবে। এর মাধ্যমে সুস্থ ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রে প্রবেশ করে জিবানু ধ্বংস করে মূত্রাশয় সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। প্রোবায়োটিকস ব্যাকটেরিয়া হিসেবে দই বা দধি জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। এ খাবার প্রাকৃতিকভাবে ক্ষয় রোধ করে।

* ক্র্যানবেরি ফলে মূত্রনালীর সংক্রমণ প্রতিরোধ করার অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে। ক্র্যানবেরিতে টাইপ-এ (প্রোয়ানথোসানিডিনস)প্যাকসহ বহুমুখী এবং অনন্য উপাদান রয়েছে। এটি কিডনি, মূত্রথলি এবং মূত্রনালীর যেকোনো অংশের সংক্রমণ রোধ করে। আপনি ক্র্যানবেরি জুস পান করতে পারেন।

তবে একটি বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে ক্র্যানবেরি অতিমাত্রায় খাওয়া যাবে না, এটি কিডনি পাথর গঠনের কারণ হতে পারে। সতর্ক এটি অতিমাত্রায় না হতে পারে।

* প্রাকৃতিক চিনি গ্লুকোজ যা ডি-ম্যানোজের নামে পরিচিত। ক্র্যানবেরির মতো এটিরও মূত্রনালীর সংক্রমণ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই