মুস্তাফিজ ভুল করেছে, দাবি ভারতীয় পত্রিকার

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্পদ মুস্তাফিজুর রহমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) খেলতে যেয়ে বড় ভুল করেছেন বলে মনে করছে পশ্চিমবঙ্গের বাংলা পত্রিকা ‘এবেলা’।

‘এত বড় ভুল কী করে করলেন মুস্তাফিজুর?’ এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন করেছে পত্রিকাটি। সেখানে মুস্তাফিজকে ‘যথাযথ সম্মান’ দিয়ে বলা হচ্ছে, তার বল খেলতে খেলতে রহস্য বের করে ফেলবেন বিদেশি ক্রিকেটাররা। এতে তারই ক্ষতি।

প্রতিবেদনটির ভাষা আনাড়ি হাতের। কেননা শক্ত কোনো যুক্তি সেখানে দাঁড় করানো হয়নি। গতানুগতিক ভাষায় বলা হয়েছে, ‘ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলার দৌলতে সেই কাটার-ভীতি কেটে যেতে বাধ্য বিদেশি ক্রিকেটারদের। মুস্তাফিজুরকে আগামীদিনে খেলা আরও সহজ হয়ে যাবে। খেলতে খেলতে একসময় রহস্য আর রহস্য থাকে না। দীর্ঘদিন ধরে ভীতিপ্রদ বিষয়কে কাছ থেকে দেখলে আগের সেই ভীতি আর থাকে না। তেমনই মুস্তাফিজুরকে যত বেশি খেলা যাবে, ততই তাঁর সম্পর্কে গড়ে ওঠা রহস্যও ধীরে ধীরে কেটে যাবে। মুস্তাফিজুরের অস্ত্রগুলো সম্পর্কেও একটা সম্যক ধারণা তৈরি হয়ে যাবে গোটা বিশ্বের ক্রিকেটারদের। ফলে মুস্তাফিজুরকে খুব সহজভাবেই খেলে দিতে পারবেন অন্য দেশের ক্রিকেটাররা।’

এই কথা লিখে পরক্ষণে প্রতিবেদনটিতে বলা হচ্ছে, তিনি যত বেশি বাইরে খেলবেন, তত বেশি শিখবেন!

‘তাই বলে মুস্তাফিজুরের প্রতিভাকে অসম্মান বা অশ্রদ্ধা করা হচ্ছে না। তাঁর শেখার যথেষ্ট সময় এখনও পড়ে রয়েছে। যত বেশি তিনি খেলবেন, ততই তিনি শিখতে পারবেন। অভিজ্ঞতা তাঁকে অনেক কিছুই শেখাবে।’ লিখেছে ‘এবেলা’।

শচীনের প্রসঙ্গ টেনে আরেকটি হাস্যকর যুক্তি খাড়া করেছে পত্রিকাটির জনৈক সাংবাদিক, ‘উলটোদিকও তো আছে। একসময় সচিন তেন্ডুলকরের (শচীন টেন্ডুলকার) খেলা দেখে দেখে, তাঁর বিরুদ্ধে খেলতে খেলতে বিপক্ষ দেশগুলো মাস্টার ব্লাস্টারের দুর্বলতা জেনে ফেলেছিল। সচিনকে ফেরানোর জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা একটি বিশেষ জায়গায় ফিল্ডার রেখে দিত। মুম্বইকরও সেই ফাঁদে ধরা দিতেন। ঠিক তেমনি মুস্তাফিজুর-ধাঁধাও কিন্তু সমাধান হয়ে যাবে।’

পত্রিকাটিতে এমন দাবি করা হলেও বিশ্লেষকরা বারবার বলে আসছেন, মুস্তাফিজকে খেলা কখনো সহজ হবে না। কেননা তার ডেলিভারি দেয়ার ধরণ প্রকৃতিগত। তিনি যত বেশি অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলবেন, তত বেশি বাস্তবতা বুঝতে পারবেন।

মাশরাফিও গতকাল বলেছেন, আইপিএলে মুস্তাফিজ অনেক উন্নতি করেছে। গতি বেড়েছে। ইয়র্কার নিখুঁত হচ্ছে। বাউন্সার দিচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই