মুসলমানি করাতে গিয়ে লিঙ্গ কর্তন!
সুন্নতে খৎনা (মুসলমানি) করাতে গিয়ে আখাউড়ায় রিয়াজ উদ্দিন (৮) নামের এক শিশুর লিঙ্গ কর্তন করে পালিয়েছে এক আনাড়ি খলিফা (সুন্নতে খৎনার গ্রাম্য চিকিৎসক)। আহত শিশু রিয়াজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক। রিয়াজ খলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র।
এ ঘটনায় রোববার সকালে রিয়াজের বাবা লিয়াকত আলী বাদি হয়ে খলিফাকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানায় মামালা দায়ের করেছেন। খলিফা জারু মিয়া (৩৫) পলাতক রয়েছেন। তিনি কসবা উপজেলার গোপিনাথ পুর আজমপাড়ার কেতু মিয়ার ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের লিয়াকত আলীর স্কুল পড়ুয়া ছেলে রিয়াজ উদ্দিনকে গত ৯ এপ্রিল নিজ বাড়িতে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সুন্নতে খৎনা করানোর জন্য খলিফা জারুকে নিয়ে আসা হয়। খৎনা করানোর সময় খলিফা অজ্ঞতাবশতঃ ওই শিশুর লিঙ্গ কর্তন করে ফেলে। বাড়ির লোকজন কিছু বুঝে উঠার আগেই লিঙ্গে ব্যান্ডেজ করে কাটা অংশ নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় খলিফা।
শিশুর বাবা লিয়াকত আলী জানান, খৎনা করানোর পর খলিফা অন্য এলাকায় খৎনার কাজ করাতে হবে বলে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত চলে যায়। কিন্তু তার শিশুপুত্র রিয়াজের প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন লিয়াকত আলী।
পরে বিষয়টি খলিফা জারু তার গ্রামের মেম্বারসহ নেতৃত্ব স্থানীয়দের কাছে স্বীকার করেন এবং শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য লিয়াকতের বাড়িতে পাঠান। পরে আশংকাজনক অবস্থায় ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রিয়াজকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
এ ঘটনায় শিশুর বাবা লিয়াকত আলী রোববার আখাউড়া থানায় জারু মিয়াকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন তরফদার বলেন, একজন আনাড়ি খলিফা খৎনা করাতে গিয়ে শিশুর পুরুষাঙ্গ সম্পূর্ণ আলাদা করে পালিয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য চালু নেই