মুশফিকের হাতেই থাকছে উইকেট রক্ষকের গ্লাভস
মুশফিকুর রহীমের অভিষেক হওয়ার আগে উইকেটের পেছনে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করতেন থালেদ মাসুদ পাইলট। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরে মাসুদের ক্যারিয়ারের ইতি ঘটে। উইকেট রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে সুযোগ পেয়ে অভিষেকেই ৮০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন মুশফিক। সেই থেকে মুশফিকই ভরসা। ৪৯ টেস্টের ক্যারিয়ারে শুরুর ওই দুই আর সবশেষ তিন, এই পাঁচ টেস্টেই কেবল কিপিং করেননি মুশফিক।
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড সফরে মুশফিকের কিপিং নিয়ে প্রশ্ন উঠে। সেখানে একাধিক ক্যাচ বা স্টাম্পিং মিস করে মুশি। সদ্য সমাপ্ত ভারত সফরে একমাত্র টেস্টে সহজ স্টাম্পিং মিস হওয়ার পর প্রশ্নটি ভারী হয়েছে আরও। তবুও উইকেটকিপিং ছাড়তে নারাজ মুশফিক! বরাবরই তিনি বলে এসেছেন যে তিনটিই চালিয়ে যেতে চান এবং কিপিংটা তার ভালোবাসার জায়গা। তার চাওয়াকেই প্রাধান্য দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ফলে শ্রীলঙ্কা সফরেও উইকেটরক্ষক হিসেবে থাকছেন টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম।
আগামী মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। সেখানে নিয়মিত উইকেটরক্ষক মুশফিকের পাশাপাশি স্ট্যান্ডবাই উইকেটরক্ষক থাকবেন লিটন কুমার দাস।
এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘মুশফিক এখনও আমাদের নাম্বার ওয়ান উইকেটরক্ষক। ও কিপিং ছাড়বে কি-না সেটা তার ব্যাপার। তবে শ্রীলঙ্কা সফরেও আমাদের মূল কিপার মুশফিক। ওর কোনো সমস্যা হলে সে জায়গায় কিপিং করবে লিটন দাস।’
এদিকে ইনজুরি কাটিয়ে পুরোপুরি ফিট হয়ে না ওঠায় প্রথম টেস্টের দলে অভিজ্ঞ ওপেনার ইমরুল কায়েসকে রাখা হয়নি বলেও জানালেন প্রধান নির্বাচক। তবে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারেন তিনি। এই প্রসঙ্গে নান্নু বললেন, ‘ইমরুলের ফিটনেস আগে চেয়ে অনেক ভালো। তবে শতভাগ ফিট হতে পারেনি ও। যে কারণে ইমরুলকে দলে রাখা হয়নি। তবে পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠলে দ্বিতীয় টেস্টে রাখা হবে ইমরুলকে। দ্বিতীয় টেস্ট দল ঘোষণার আগে বিসিএলে দুটি ম্যাচ খেলবে ইমরুল। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি ওর ফিটনেস টেস্ট করা হবে। সেখানে উত্তীর্ণ হলে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে ইমরুলকে।’
মন্তব্য চালু নেই