মুরগীর জন্ম দিলেন বিজ্ঞানীরা, যাদের পা দুটো ডাইনোসরের মতো!

বিস্ময়কর এক গবেষণায় আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব চিলির এক দল গবেষক। তারা এমন মুরগীর উৎপাদন করছে যাদের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে ডাইনোসরের পা। আধুনিক পাখি প্রজাতির প্রাণীদের হাড়ের কাঠামো ও গঠন প্রাচীন আমলের পাখিদের চেয়ে ভিন্ন। এদের পায়ের টিবিয়া অপেক্ষা ফিবুলা কিছুটা ছোট আকারের হয়।

পায়ের দুটো হাড় থাকে। অপেক্ষাকৃত সরুটাকে বলা হয় ফিবুলা। আর মোটা ও শক্তিশালী হাড়টিকে বলা হয় টিবিয়া। ‘ইভোল্যুশন’ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রে বলা হয়, ইন্ডিয়ান হেজহগ হোমোলোগ জিন ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই জিনটি মানুষসহ সকল প্রাণীদেহে দেখা যায়। মুরগীর ভ্রূণে এই জিনটি প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। এতে মুরগীর পায়ের হাড় অনেকটা বৃদ্ধি পাবে। ফলাফলে দেখা গেছে, মুরগীর পায়ের ফিবুলা বাড়তেই থাকে যতক্ষণ না পর্যন্ত এটি টিবিয়ার চেয়ে বড় এবং টিউবের মতো দেখতে না হয়। এতে হাড়ের গঠন অনেকটা থেরোপডস-এর মতো হয়ে গেছে। এরাই আধুনিক পাখি প্রজাতির আদিপুরুষ ডাইনোসর। থেরোপডস থেকে বর্তমান পাখি প্রজাতির বিবর্তন ঘটেছে ১৪৫ মিলিয়ন বছর ধরে।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, দেহের ওজন কমার সঙ্গে সঙ্গে এদের পায়ের হাড়ের গঠনও সুবিধাজনকভাবে বদলে যেতে থাকে। এখন আধুনিক পাখি প্রজাতির পায়ের গঠন আর থেরোপডস-এর মতো নেই। ডিএনএ’র সামান্য এই পরিবর্তনে ডাইনোসরের সেই পা আবারো ফেরত আসতে পারে। ডাইনোসর থেকে পাখি প্রজাতি হওয়ার সেই ডিএনএ পরিবর্তনের সময়টা আবারো ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা এমন মুরগীর জন্ম দিয়েছেন যাদের পা দুটো ডাউনোসরের মতো। আমেরিকার এক দল বিজ্ঞানী আবার এমন মুরগীর জন্ম দিতে চলেছেন যাদের ঠোঁট হবে ডাইনোসরের মতো।



মন্তব্য চালু নেই